শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে অসময়ের তরমুজ চাষে কৃষকের সাফল্য
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে অসময়ের তরমুজ চাষে কৃষকের সাফল্য
৩৯০ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে অসময়ের তরমুজ চাষে কৃষকের সাফল্য

---
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ঝিকরা গ্রামের শিক্ষিত যুবক ইমরান হোসেন অসময়ে (গ্রীষ্মকালিন) তরমুজ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের দিকনির্দেশনায় পরীক্ষামূলকভাবে ২৬ শতক জমিতে ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন। তার ক্ষেতের তরমুজের ফলন দেখে ওই এলাকার অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালিন তরমুজ চাষে ঝুঁকেছেন। ফলে এ উপজেলায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ আবাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তারা তার ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়ে অভিভূত হন। দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ইমরান হোসেন বাড়িতে অলস সময় ব্যয় না করে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় সে ইউটিউবে গ্রীষ্মকালিন তরমুজের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। তার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি বিভাগ এগিয়ে আসে। কৃষি বিভাগ বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তার ২৬ শতক জমির মধ্যে ১৫ শতক জমিতে প্লট প্রদর্শনীর মাধ্যমে ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ চাষ আবাদের পরিকল্পনা নেয়। এ সময় ইমরান হোসেনও তার অবশিষ্ট ১১ শতক জমিতে তরমুজ আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষেত পরিচর্যা শুরু করেন। গ্রীষ্মের শুরুতেই তিনি ক্ষেতে তরমুজের বীজ বপন করেন। ফসলের নিয়মিত পরিচর্যার ৩ মাসের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু হয়। বর্তমান তিনি তরমুজের বা¤পার ফলন আশা করছেন। সফল চাষি ইমরান হোসেন বলেন, তার ক্ষেতে তরমুজের ফল আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বর্ষা মৌসুমে মাটির ওপর তরমুজ রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। এ আশঙ্কায় তিনি ক্ষেতে টোং আকারে নেটের জাল বিছিয়ে দিয়েছেন। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় ক্ষেতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। তার ক্ষেত থেকে ১ হাজার পিস তরমুজ উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদী। অসময়ে তরমুজ উঠছে বলে এর বাজার দামও বেশি। বর্তমান বাজারে প্রতিমন তরমুজ ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খরচ বাদে তার লাভ হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। অসময়ে তরমুজ আবাদের কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান, কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনির হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলক কুমার শিকদার, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম তার ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, এ দেশের আবহাওয়ায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ খুবই উপযোগী।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)