শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » খুলনার ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় ছাগল পালনে সফলতা অর্জন করেছেন ডলি বেগম
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » খুলনার ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় ছাগল পালনে সফলতা অর্জন করেছেন ডলি বেগম
৪৮২ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খুলনার ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় ছাগল পালনে সফলতা অর্জন করেছেন ডলি বেগম

---

অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া

খুলনার ডুমুরিয়ায় দেশী-বিদেশী জাতের ছাগল পালন করে লাভবান হয়েছে ডলি বেগম নামের এক দম্পতি। ইতোমধ্যে তার ছাগল পালনে লাভবান দেখে প্রায় দেড়‘শ চাষী ছাগল পালন শুরু করেছে। কম খরচে ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভবানের ফলে উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি পরিবারে এ ছাগল পালনের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তবে ছাগল পালনে খামারীদের পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় লক্ষমাত্রা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে বলে খামারীরা জানিয়েছেন। সরোজমিনে গিয়ে কথা হয় উপজেলার খর্নিয়া রানাই গ্রামের ছাগল খামারী ডলি বেগম। তিনি জানান ২০০৯ সালে ৭ হাজার টাকা মূল্যের ৫টি দেশীয় জাতের ছাগল দিয়ে তার খামার শুরু হয়। যা এক বছরে বৃদ্ধি পেয়ে ১৭টি ছাগল হয়। পর্যায় ক্রমে প্রতিবছরে ছাগলের সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে ডলি দম্পতি ছাগল চাষের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়ে এবং লাভবান হতে থাকি। এরপর ২০১৫ সালে রংপুরের গাঁড়ল জাতের ৪টি ছাগল ৩২ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করে দেশীয় জাতের সাথে পালতে থাকি। ডলি বেগম আরো জানান ২০১৭ সালে ৭৬টি ছাগল বিক্রি করে খরচ বাদে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাভবান হন তিনি। এতে তার খরচ হয় মাত্র ৫৫ হাজার ২‘শ টাকা।  ডলি বেগমের স্বামী হান্নান শেখ বলেন, গাঁড়ল জাতের ছাগল বছরে মাত্র একটি বাচ্চা দেয়।আর দেশীয় জাতের ছাগল বছরে ২/৩টি করে ২বার বাচ্চা প্রসাব করে। যে কারনে বিদেশী গাঁড়লের প্রতি নিরুৎসাহী হয়ে তারা দেশী জাতের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তাছাড়া দেশীয় জাতের ছাগল সকল আবহাওয়ায় টেকসই, মৃত্যুর ঝুঁকি নেই বললে চলে।এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী ,খাবারে সবুজ ঘাস,লতা,পাতা ও দানাদার খাবারই যথেষ্ট। ডলি দম্পতি আরো বলেন দু‘একর জমি হারিতে নিয়ে খামার গড়ে তুলেছেন তারা। তবে যথেষ্ট পুঁজি না থাকায় এবং সরকারী পৃষ্টপোষকতার অভাবে লক্ষ অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। কথা হয় এলাকার খামারী শশংক অধিকারী, সেলিম মোড়ল, অনিমেষ পাল সহ অনেকের সাথে। তারা বলেন ছাগলের মাংশ রসালো, গন্ধহীন, সুস্বাদু ও দামী। এ ছাড়া মাত্র ১০/১২ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ছাগলে পরিনত হয় এবং বছরে দু‘বার একাধিক বাচ্ছা দেয়ায় অধিক লাভবান দেখে আমরাও ছাগল পালনে ঝুঁকে পড়েছি। এ প্রসংগে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন ছাগল কৈ মাছের মত, যা সহজে মরে না। তবে ছাগলের প্রতি কুকুরের উপদ্রব কিছুটা বেশী দেখা যায়। পরিকল্পীত ভাবে ছাগল পালন করতে পারলে খুব সহজে এবং স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)