শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
৩৮৭ বার পঠিত
সোমবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত

---

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ শীতের শুরুতে ক্ষেত ভলা সরিষার হলুদ ফুল দেখে হৃদয় ভরে যায়। দিগন্ত জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলের কাঁচা সোনার উৎসব। যতদুর চোখ যায় শুধু হলুদ ফুলের ছড়াছড়ি। প্রজাপতি, মৌমাছি, ছোট ছোট পাখি নানা নানা ধরনের পোকা মাকড় থেকে শুরু করে অনেক কিছুই হলুদের রাজ্যে দেখা যায়।

পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত হলুদের সমারোহ। সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনে কৃষকের মন আলোড়িত হচ্ছে। মধু আহরনে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়ে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে ও কুয়াশা কম থাকায় উপকূলীয় উর্বর জমিতে এ বছর আশানারুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতি ক্ষেতে তরতাজা সবুজ সরিষা গাছাগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষককের মুখে হাসি ফুটেছে।

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে ১৮৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে কৃষকদের সরিষার বীজ ও সার দেওয়ায় এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। উপজেলায় ১৮৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের মধ্যে উফশি ১৮৭ হেক্টর ও স্থানীয় ০২ হেক্টর। সময় মত মাটিতে জো না আসায় সরিষার আবাদ কিছুটা দেরি হয়েছে। উপকূলের লবনাক্ত এলাকা চাষাবাদ অনেকটা প্রকৃতি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। অন্য এলাকায় আগাম মাটিতে জো আসলেও উপকূল এলাকার নিঁচু মাটিতে জো আসতে দেরি হয়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ হয়ে থাকে। তাছাড়া চাঁদখালী, গড়ইখালী ও দেলুটিতে সামান্য জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে গদাইপুরে ১২ হেক্টর, কপিলমুনি ৭১ হেক্টর, হরিঢালী ৬৪ হেক্টর, রাড়–লী ৩০ হেক্টর, চাঁদখালী ৩ হেক্টর, গড়ইখালী ৫ হেক্টর, ও দেলুটীতে ২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বারি সরিষা ১৪-১৫, টরি ৭, এসএম ৭৫, রাই ৫ জাতের সরিষা আবাদ করেছে। সরেজমিনে এসব ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে সরিষার ফুল ঝরতে শুরু করে সরিষার দানা বাধতে শুরু করেছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামে সরিষা চাষী সবুর মোড়ল ও আব্দুস সামাদ জানান, তাদের ক্ষেতের আবাদকৃত সরিষা ভালো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধান কাটতে দেরি হওয়ায় সরিষা আবাদ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কৃষকরা যদি আগাম জাতের ধান চাষ করে তাহলে সময়মত ধান কাঁটার পর সরিষা চাষে পূরা সময় পাবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া উপকূল এলাকার নিচু জমিতে জো আসে দেরিতে সে জন্য ফসল লাগাতেও দেরি হয়। এবছর উপজেলায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয়ের সৃষ্টি না হলে সরিষার আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)