শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

SW News24
মঙ্গলবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » কেশবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহি খেজুরের রস ও গুড়
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » কেশবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহি খেজুরের রস ও গুড়
৪৩১ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহি খেজুরের রস ও গুড়

---

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের কেশবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে  ঐতিহ্যবাহি খেজুরের রস ও গুড়। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এ বছর মৌশুমের শুরুতে খেজুর রস আহরণ এবং নির্ভেজাল গুড় তৈরী এবং সেটা বাজারজাত করার জন্য শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক যশোরের কেনাকাটা ডট কম এর আয়োজনে কেশবপুরের সাতবাড়িয়া ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের ৭০জন খেজুর গাছিদের প্রশিক্ষণ ও খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের উপকরণ দিয়েছে। কেনাকাটা ডট কম এই চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি খেজুর গুড় কিনে তা বাজারজাত করবে। কেশবপুর উপজেলার ভালুকঘর, মূলগ্রাম, বেলকাটি, সাগড়দাড়ি, ফতেপুর, চিংড়া, হাসানপুর, ধর্মপুর, আওয়ালগাতি, ভান্ডারখোলা, চাঁদড়া, দেউলি, বাগদাহ, সাবদিয়া, মজিদপুর, মধ্যকুল, ব্রহ্মকাটি, রামচন্দ্রপুর, ব্যাসডাঙ্গা, পাঁজিয়া, গড়ভাঙ্গা, কলাগাছি, গৌরিঘোনা, ভেরচি, মাগুরখালি, মঙ্গলকোট, বড়েঙ্গা, কন্দর্পপুর, পাথরা, কেদারপুরসহ অনেক গ্রামে গাছিরা খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন ঠিলে, খুংগি, দড়া, গাছি দাঁ, বালিধরাসহ খেজুর গাছ কাঁটার কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন গাছিরা। শ্রমজীবি গাছিরা জানান, প্রতি বছরে খেজুর গাছ কেটে ফেলার কারণে রস ও গুড়ের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক গাছের মালিকরা খেজুর গাছ কেটে ইটভাঁটায় বিক্রয় করে ফেলেছেন।খেজুর গাছের মালিকরা জানান, আগের মতো পেশাদার গাছি (শ্রমিক) এখন নেই। অনেকে বৃদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সারা গ্রামে এখন একজন গাছিও পাওয়া যায় না। সেজন্য একজন শ্রমিককে খেজুর গাছ তুলতে প্রায় ৩ থেকে ৫ শত টাকা করে দিতে হয়। গাছের পরিমান ও গাছির সংখ্যা কমে যাওয়া খেজুর রস ও গুড়ের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া আগে প্রতিটি গাছে এক কাঁটায় এক ভাড় করে রস হতো। কিন্তু এখন এর অর্ধেক রস হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)