শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ২০ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে বাম্পার ফলনের পরেও ভাল নেই আম চাষীরা
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে বাম্পার ফলনের পরেও ভাল নেই আম চাষীরা
৪১৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২০ এপ্রিল ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে বাম্পার ফলনের পরেও ভাল নেই আম চাষীরা

---


এম. আব্দুল করিম, কেশবপুব (যশোর) প্রতিনিধি: 

যশোরের কেশবপুরে আমের বাম্পার ফলনের পরেও  ভাল নেই আম চাষীরা । করোনার মহামারির কারণে আম রপ্তানিতে ধ্বশ নামার শঙ্কায় বেপারিরা আমের বাগান কিনতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় প্রতিবছরই আবাদ বাড়ছে। চলতি বছরে আম চাষ হয়েছে প্রায় ৬শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পাঁজিয়া ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আমের বাগান রয়েছে। এ অঞ্চলে আ¤্রপালি, লেংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, হিমসাগর থাই, গোপালভোগ, বারি ১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ ও রসে ভরা বোম্বাই জাতের আম আবাদ করা হয়। এর মধ্যে হিমসাগর ও আম্রপালির চাহিদা বেশি। গত সপ্তাহে এ অঞ্চল দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেক আম গাছ থেকে গুটি ঝড়ে পড়েছে। বৈশাখ মাসের শেষের দিকেই ওই আম পাকতে শুরু করবে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সম্প্রতি ঝড়ো হাওয়া ও খরার কারণে অনেক গাছ থেকে গুটি ঝড়ে পড়ে যাওয়ার পরও পর্যাপ্ত আম রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বৈশাখ মাসের শেষের দিকেই আম পাকতে শুরু করলে চাষী ও বেপারিরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে ব্যবসায় লোকসান হওয়ার শঙ্কায় বেপারিরা চাষীদের কাছ থেকে আম কিনতে অনীহা প্রকাশ করছে।

করোনার কারণে এ বছর আমের দাম নিয়ে তিনি চিন্তিত। পরিস্থিতি ভালো না হলে আম বিক্রিতে তিনি লোকসান হওয়ার আশঙ্কা করছেন। উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আম চাষী মোতাহার হোসেন বলেন, গতবছর প্রায় ১ লাখ টাকায় আম বিক্রি করেছিলেন। করোনার কারণে এবার ২০ হাজার টাকা বলেছেন। করোনার কারণে আম ব্যবসায়ীরাও চিন্তিত।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বছরে উপজেলার ৬শ হেক্টর জমিতে আবাদ করা গাছ থেকে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন সম্ভব। খরার কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়া রোধ করতে চাষীদের গাছের গোড়ায় পানি দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আম গাছের পোকা ও রোগ দমনের জন্য চাষীদের কিটনাশক এবং ছত্রাক নাশক ¯েপ্র করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)