শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

SW News24
শনিবার ● ২১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » যত দ্রুত সম্ভব ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কার্যকর : প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » যত দ্রুত সম্ভব ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কার্যকর : প্রধানমন্ত্রী
৩৪৪ বার পঠিত
শনিবার ● ২১ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যত দ্রুত সম্ভব ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কার্যকর : প্রধানমন্ত্রী

এস ডব্লিউ নিউজ:  স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে সোচ্চার আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার ২১ আগস্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ অপশক্তির যেকোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সব আইনি বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রায় কার্যকর হবে। এ রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে এবং বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে পরিণত হবে।’

তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা এবং আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান আল্লাহ’র অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২২ নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। তাদের অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং অনেকে দেহে স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন।’

২১ আগস্ট সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই সরকারে এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘এ নারকীয় হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিল। হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সব আলামত ধ্বংস করে। তদন্তের নামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে।’

তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা জনগণকে ধোঁকা দিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকেনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়। আদালত গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে পলাতক তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে ১১ আসামির। এই রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন হয়েছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এই সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জন নিহত: আইজিপি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জন নিহত: আইজিপি
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের লাশ হস্তান্তর শুরু বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের লাশ হস্তান্তর শুরু
একুশ মাথা নত না করতে শেখায়: প্রধানমন্ত্রী একুশ মাথা নত না করতে শেখায়: প্রধানমন্ত্রী

আর্কাইভ