শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » কৃষি জমি ও উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষার দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন
প্রথম পাতা » বিবিধ » কৃষি জমি ও উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষার দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন
৩১৫ বার পঠিত
শনিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কৃষি জমি ও উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষার দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন

---


মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালুর কবল থেকে চিলা ও বানীশান্তা ইউনিয়নের কৃষি জমি এবং উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষার মোংলায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের পৌর শহরের চৌধুরীর মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ’কৃষক বাঁচাও, উপকূল বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ শ্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কৃষক নেতা চিলা কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা মোঃ আলম গাজী। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী নিমাই গাঙ্গুলি। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা বটিয়াঘাটা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, এস,এ রশিদ, কৃষক সমিতির খুলনা জেলার নেতা এ্যাডঃ রুহুল আমীন, মোংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূর আলম শেখ, বাগেরহাট জেলা নেতা ফররুখ হাসান জুয়েল, খান সেকেন্দার আলী, হুমায়ুন কবির, বানিশান্তা ইউনিয়ন কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা বিশ্বজিৎ মন্ডল, সত্যজিৎ গাইন, অশোক কুমার বৈদ্য ও সঞ্জীব মন্ডল। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কৃষি জমি নষ্ট ও কৃষকদের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করে কথিত উন্নয়ন কর্মকান্ড মেনে নেয়া হবে না। কৃষকদের নামমাত্র ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে চিলা ও বানীশান্তা ইউনিয়নে বালু ফেলতে দেয়া হবে না। বক্তারা কৃষকদের মতামতের ভিত্তিতে ও তাদের জীবন-জীবিকা রক্ষা করেই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জন্য মোংলা বন্দরের প্রতি আহ্বাণ

 জানান। বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবী জানান।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী নিমাই গাঙ্গুলি বলেন, পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কৃষি জমিতে ফেলে কৃষকদের সাথে জুলুম, অন্যায় ও অবিচার করছেন। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচী পালন ও প্রধানমন্ত্রীকেও ঘেরাও করা হবে। কোনভাবেই এসব মেনে নেয়া হবেনা। 

উল্লেখ্য, বন্দরের পশুর চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের জন্যে ১৫’শ একর জমির প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে মোংলার চিলা ইউনিয়নে ৭’শ একর ও দাকোপের বানীশান্তা ইউনিয়নের ৩’শ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি। এসব জমির মালিকরা কোন ধরণের ক্ষতিপূরণ’র বিনিময়ে কৃষি জমিতে বালু ফেলতে দিতে চায় না।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)