বুধবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রযুক্তি » সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনদের অংশগ্রহনে সভা ‘সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে
সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনদের অংশগ্রহনে সভা ‘সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে
এস ডব্লিউ নিউজ: সভ্যতার বয়স যতোদিন, দুর্নীতির বয়স ততোদিন। শুধু আইন করেই এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। সমাজে এক ধরনের মানসিক রোগ রয়েছে, প্রয়োজন নেই তবুও অনিয়ম করছি। এ জন্য স্বদিচ্ছার প্রয়োজন। স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চাপিয়ে দেওয়ার মধ্য নয়, কাজ করতে হবে দায়িত্ববোধ নিয়ে। সেবক হয়ে কাজ করতে হবে। সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, সেই রক্তের মূল্যায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব কথা বলেন খুলনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনদের অংশগ্রহনে সভায় অংশ নেয়া অতিথিরা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন এ্যান্ড এ্যালায়েড সায়েন্সের (ইনমাস) কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) নিরঞ্জন দেবনাথ।
ইনমাসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ ঝর্ণা দাসের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ আহাদ আলী, উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ রবিউল হাসান, খুমেকের বিভাগীয় প্রধান (শিশু স্বাস্থ্য) প্রফেসর ডাঃ গোলাম মোস্তফা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বাবুল মিয়া।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, খুলনা পরামাণু চিকিৎসা কেন্দ্রে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসাথে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের অপ্রতুল জনবল নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষের সেবাদানে কাজ করে যাচ্ছে। অতিমারী করোনা মধ্যেও বর্তমানে ডেঙ্গুর সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য মানুষের দ্বারপ্রান্তে সেবা প্রদান। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করছেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী সবার আগে সেই উদ্যোগটি নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতায় দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যথাযত দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঠিক কাজটি করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। একটু ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। সোনার বাংলা বিনির্মানে সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।