শুক্রবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » শিক্ষা » করোনায় মুত্যুবরণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ধনঞ্জয়ের পরিবারের পাশে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রিলিয়া
করোনায় মুত্যুবরণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ধনঞ্জয়ের পরিবারের পাশে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রিলিয়া
রামপ্রসাদ সরদার, কয়রা;
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুত্যুবরণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ধনঞ্জয়ের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রিলিয়া। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় ধনঞ্জয়ের অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে এ সহযোগীতা করেছেন উক্ত সংগঠন।
জানা গেছে সম্প্রতি মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ধনঞ্জয় মন্ডল। এতে করে তার পিতা-মাতা সহ স্ত্রী সাগরীকা ৫ মাসের একমাত্র সন্তান ধ্রুবজয়কে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। বিষয়টি জানতে পেরে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রিলিয়ার মাধ্যমে ধনঞ্জয়ের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য ২ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন ধনঞ্জয়ের স্ত্রী সাগরীকা মন্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ রিয়াছাদ আলী, আইসিডির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্র আশিকুজ্জামান, ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার প্রমুখ।
টাকা গ্রহণ করার সময় এক প্রতিক্রিয়ায় ধনঞ্জয়ের স্ত্রী সাগরীকা মন্ডল বলেন, সহযোগীতার অর্থ দিয়ে একটি সঞ্চয়পত্র কিনে পরিবারের খরচ যোগাতে পারবো। তিনি এ ধরনের মহতী উদ্যোগ নেওয়ায় সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, নদীতে জাল টেনে ধনঞ্জয়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া শিখিয়েছে তার পরিবার। অনেক স্বপ্ন ছিল ধনঞ্জয় লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করবেন। ইতিমধ্যে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে ভাইবার অপেক্ষায় বসে ছিল ধনঞ্জয়। একটি পরিবারে সকল স্বপ্ন সব কেড়ে নেয় মহামারী ভাইরাস করোনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রিলিয়া ধনঞ্জয়কে যে সহযোগীতা করেছে সে জন্য তার পরিবারের পাশাপাশি এলাকাার সাধারন মানুষও বেজায় খুশি হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।