শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » ধান চাষে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি লাইন ও লোগো পদ্ধতি
প্রথম পাতা » কৃষি » ধান চাষে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি লাইন ও লোগো পদ্ধতি
৩৫১ বার পঠিত
শনিবার ● ২ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ধান চাষে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি লাইন ও লোগো পদ্ধতি

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা: আধুনিক ও নতুন প্রযুক্তি লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ধানের ভালো ফলন পাওয়া যায়। লাইন ও লোগো পদ্ধতি ধান চাষের নতুন প্রযুক্তি। এই পদ্ধতিতে ধান চাষে জমিতে নিড়ানি যন্ত্র ব্যবহার ও সার প্রয়োগে সুবিধা হয়। খরচ কম হয় ও বেশী ফলন পাওয়া যায়।

লাইন বা সারি পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব হতে হবে ২০-২৫ সেমি বা ৮-১০ ইঞ্চি। ধানের সারিতে গুছি থেকে গুছির দূরত্ব হতে হবে ১৫-২০ সেমি বা ৬-৮ ইঞ্চি।

লাইন বা সারিতে লাগানো গাছ পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো ও বাতাস পেয়ে থাকে। ফলে গাছের সালোকসংশ্লেষণে সুবিধা হয়। লাইন বা সারি করে চারা লাগানো ধান গাছের পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। নিড়ানি যন্ত্র ব্যবহার করে খুব সহজেই জমি আগাছামুক্ত করা যায় এবং খরচও কম হয়ে থাকে। সার প্রয়োগে সুবিধা হয়। লাইন বা সারি পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে জমিতে তুলনামুলকভাবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ফলন অনেক বেশী হয়।

লোগো পদ্ধতিও ধান চাষের নতুন একটি প্রযুক্তি। ধানের চারা রোপণের সময় প্রতি ১০ সারির পরে একটি সারি বাদ দেওয়া বা ফাঁকা রাখাই হলো লোগো পদ্ধতি। প্রতি ১০ সারি পরে ১২-১৬ ইঞ্চি ফাঁকা রাখা উত্তম। ধানের চারা রোপণের সময় প্রতি ১০ সারির পরে ১ টি লাইনে ধানের চারা লাগানো বাদ রেখে অন্য লাইনে চারা লাগাতে হবে। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ করতে হবে।

বাদামী ঘাসফড়িং ও মাজরা পোকা ধান গাছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। ছায়াযুক্ত স্থানে সাধারণত এ ধরনের পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হলে ধান গাছ পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস পাওয়ায় পোকার আক্রমণ কমে যায়। জমিতে এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে আগাছা দমন, সঠিকভাবে সার প্রয়োগ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া আগাছা পরিষ্কারের সময় লোগোর লাইনে বা সারিতে তা পুতেঁ রাখলে জৈব সার হয়। লোগো পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হলো জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়ে থাকে। উপজেলার হিতামপুর গ্রামের কৃষক আ:সালাম সানা বলেন, লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধান লাগালে ক্ষেতে যাওয়া ও আসা করতে সুবিধা হয়। ধানের ক্ষতি হয় না। সার ও আগাছা পরিস্কা করতে সুবিধা হয়, খরচও কম লাগে আর ফলন বেশী পাওয়া যায়। ------

পাইকগাছা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে,চলতি আমন মৌসুমে ৫ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে লাইন কমে গেলেও ধানের ফলন বেড়ে যায়। সঠিকভাবে চাষ করলে ধানের ফলন বিঘা প্রতি ৫ মণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তাছাড়া জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হলে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে। এতে ধানের উৎপাদন খরচ কমে যাবে এবং লাভ বেশি হবে।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হারুন বলেন, লাইন ও লোগো পদ্ধতি ফসলের ক্ষেতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ধানের প্রতি চারাতে গুছির সংখ্যা বেড়ে যাবে। ফলে ধানের ফলনও বেড়ে যাবে। জমিতে তুলনামুলকভাবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। খরচ কম হয় এতে কৃষক লাভবান হয় বেশী।





আর্কাইভ