শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » কয়রায় এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন
প্রথম পাতা » কৃষি » কয়রায় এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন
৩৩২ বার পঠিত
শনিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কয়রায় এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন

---

  রামপ্রসাদ সরদার, কয়রা, খুলনাঃ
নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে চলতি আমন মৌসুমে ভাল ফলনের আশা করছে উপকুলীয় জনপদ কয়রার ৭ টি ইউনিয়নের কৃষকরা। অতি বৃষ্টিতে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় শংকিত ছিল অনেকেই। এ ছাড়া পোকা মাকড়ের উপদ্রবে কি হবে এমন হতশায় ভুগলেও সকল কিছু ভুলে গিয়ে আশায় বুক বেঁধে আছে ভাল ফলনের অপেক্ষায়।

 কয়রা উপজেলার ৩নং কয়রা গ্রামের কৃষক ইছাক আলী বলেন, বরাবরের মত এবারো ছিল ভালো বীজের সংকট। এ ছাড়া অতিবৃষ্টিতে অনেক ধান ডুবে যায়। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে কয়রার আবাদি জমিগুলোতে এখন বাতাসে রোপা আমনের শীষ দোল খাচ্ছে। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে, এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কয়রার কৃষক ও কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ বছর চলতি আমন মৌসুমে উপকুলীয় জনপদ কয়রায় ১৪ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অনুতব সরকার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয়, তাহলে কয়রায় রোপা আমন আবাদে কাঙ্খিত ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বতুল বাজার গ্রামের কৃষক শায়জুদ্দীন ঢালী বলেন, এ বছর জুলাইয়ের শেষে টানা চার দিনের বৃষ্টিতে কয়রার অনেক জমির আমন ধানের বীজতলা ডুবে যায়। তার পরেও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগীতায় ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের পরামর্শে পরবর্তীতে কৃষকরা সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। এবার রোগ বালাই তেমন একটা নেই। কিছুটা পোকা মাকড়ের উপদ্রব আছে। সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক  উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

 কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার আছাদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে রোপা আমন আবাদে বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছে। এ ছাড়া কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের চাষী আঃ কাদের সানা বলেন, আমনের ভাল ফলন আশা করছি। ফসলকে রোগ থেকে বাঁচাতে বালাইনাশক দেয়া হয়েছে। পোকামাকড় ঠেকাতে কীটনাশকের পরিবর্তে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না আসলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা শুরু করা হবে। যে ভাবে আছে এইভবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে খরচ বাদে এবার আমনে বেশ লাভ হবে। 





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)