শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ১৬ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » বৈরী আবহাওয়ায় পাটের আবাদ নিয়ে দূশ্চিন্তায় পড়েছে পাইকগাছায় পাট চাষীরা
প্রথম পাতা » কৃষি » বৈরী আবহাওয়ায় পাটের আবাদ নিয়ে দূশ্চিন্তায় পড়েছে পাইকগাছায় পাট চাষীরা
৬১৩ বার পঠিত
সোমবার ● ১৬ মে ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বৈরী আবহাওয়ায় পাটের আবাদ নিয়ে দূশ্চিন্তায় পড়েছে পাইকগাছায় পাট চাষীরা

---

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা ঃ

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টিতে মধ্যে পাটের আবাদ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পাইকগাছার পাট চাষিরা। বৈরী আবহাওয়ায় পাট চাষ নিয়ে দূশ্চিন্তায় রয়েছে পাট চাষীরা। আশানারুপ ফলন পাবে কিনা তা নিয়ে কৃষকরা মহাচিন্তায় পড়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬০৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট অধিদপ্ত থেকে কৃষকরা পাটবীজ ভুর্তকী পাওয়ায় পাটচাষে কৃষকরা আরো উৎসাহিত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬শত ৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে তোষা ৬’শ হেক্টর ও দেশী ৫ হেক্টর। লবনাক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর ১৮ হেক্টর, হরিঢালী ২৪৫ হেক্টর, কপিলমুনি ২৩০ হেক্টর, রাড়–লী ৯৩ হেক্টর, পৌরসভা ১০ হেক্টর ও চাঁদখালী ইউনিয়নে আংশিক এলাকায় ৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক সবুর হোসেন আনিছ, মোস্তাক আলী, আবুল কাশেম জানান, অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষের জন্য জমিতে জো না থাকায় সময়মত পাট বীজ বিপন করতে পারেনি। তবে কিছু কিছু কৃষকরা যেখানে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে সেখান থেকে পানি সেচ দিয়ে পাট বপন করেছে। সময়মত পাটের বীজ বপন করতে না পারায় পাটের আবাদ খুব একটা ভালো হয়নি। অনাবৃষ্টিতে পাটের ক্ষেতে ঘাস ও আগাছায় ভরে গেছে। আবাদের জমি নিড়াতে ঠিকমত শ্রমিক না পাওয়ায় অধিক পয়সা দিয়ে পাটখেত পরিচার্যা করতে হচ্ছে। কৃষকরা তোষা ও৯৮, ও৯৪, দেবগ্রী ও বঙ্কিম জাতের বীজ বেশি বপন করেছে। এ জাতের পাট উঁচু ও বেশ মোটা হয় এবং ছাল পুরো হয়। এতে পাটের আশ বেশি পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাট অধিদপ্তর থেকে উপজেলার ১ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে ২ হাজার কেজি পাটবীজ বিতরণ করা হয়েছে। পাটবীজ ভুর্তকী পেয়ে কৃষকরা আরো উৎসাহিত হয়েছে। তবে এ বছর সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় হওয়ায় কৃষকরা ঠিকমত পাটের বীজ বপন করতে পারেনি। কৃষকদের পাটের চারা ৬ ইঞ্চি থেকে ১ ফুটের মধ্যে উঁচু হলে পাটক্ষেতে বিকল্প ব্যবস্থায় সেচ দিতে বলা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে দু-একবার বৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি হলে পাটের আবাদ ভাল হবে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় থাকায় কৃষকরা পাটের আশানুরুপ ফলন না পাওয়ার দূশ্চিন্তার মধ্যদিয়ে পাটের আবাদ করছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)