শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » পাইকগাছায় হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা জনপ্রিয়তা পেয়েছে
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » পাইকগাছায় হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা জনপ্রিয়তা পেয়েছে
১৪০৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা জনপ্রিয়তা পেয়েছে

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ধবধরে সাদা, গরম মচমচে সু-স্বাদু ও মুখরোচক। ভুট্টার খৈ প্রচুর পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে।  ছোট-বড় সকলেই মুখরোচক এ খৈ এর স্বাদ নিচ্ছে। শীত জেকে বসায় খৈয়ের স্বাদ যেন একটু বেশি লাগছে। ভ্যানের ভিতর ভাজা গরম খৈ ভীড় করে কিনছে ক্রেতারা। আর দিন দিন খৈয়ের চাহিদাও বাড়ছে। গরম খৈয়ের সাথে টেষ্টি লবণের মিশ্রণ মুখে লেগে থাকে ভরপুর স্বাদ।
পাইকগাছা পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র হযরত সরদার। সে পৌর বাজারে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাদাম ভেজে বিক্রি করতো। তার এই কাজে স্ত্রী সহযোগিতার পাশাপাশি বাদাম করত ও এখনো বিক্রি করে। কয়েক মাস পূর্বে হযরত ৬২ হাজার টাকা খরচ করে ভ্যানের উপর ভুট্টার খৈ ভাজার মেশিন স্থাপন করে দোকান তৈরী করেছে। ভ্যানের উপর ছোট ঘর, চারিপাশে কাঁচ লাগানো। খৈ ভাজার জন্য ভ্যানের চালার নিচে গ্যাস সিলেন্ডার রয়েছে। ছাদের উপর ৯০ ওয়াডের সোলার প্যানেল, তার নিচে মটর। ছাদের মাঝ খানে রডের সাথে বিয়ারিং সংযুক্ত ঘুন্নয়নমান পাখা যা খৈ ভাজার ডেকচির মধ্যে বসানো। ডেকচির নিচে গ্যাসের ছোট চুলার আগুনের তাপে ডেকচির ভিতর খৈ ফুটতে থাকে, আর মটরের সাথে ডেকচির ভিতর পাখা ধীরে ধীরে খৈ নেড়ে দেয়। ভাজা ধবধবে খৈ ডেকচির উপরের ঢাকনা খুলে নিচে পড়তে থাকে। এ ভাবে হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা তৈরী হয়। ভ্যানের উপরের ছাদে চতুরপাশে রঙবেরঙের বাল্ব লাগানো রয়েছে, যা রাতের বেলায় ঝিলমিল আলোর সৃষ্টি হয়। ক্রেতারা ভুট্টার খৈ ক্রয়ের সাথে সাথে আলোক সজ্জা ও মন মাতানো গান শুনতে থাকে।
এ ব্যাপারে হযরত জানান, পাইকগাছার পৌর বাজার, নতুন বাজার, গদাইপুর হাট সহ বিভিন্ন এলাকায় বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত খৈ বিক্রি করে। তাছাড়া এলাকার বাইরে কোন বড় ধরণের অনুষ্ঠান হলে হযরত সে সকল অনুষ্ঠানে খৈ ভাজার জন্য যায়। প্রতিদিন প্রায় ৫ কেজির ভুট্টার খৈ ভাজা বিক্রি হয়। পলিথিনের ছোট প্যাকেট ৫ টাকা ও বড় প্যাকেট ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। খৈ ভাজার জন্য প্রায় ৬ থেকে ৭শ গ্রাম তেল ২শ গ্রাম ঘি ও মশলার প্রয়োজন হয়। খৈ তৈরী হলে বিট লবণ ও টেষ্টি লবণের মিশ্রণ করে খৈয়ের মধ্যে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। খৈ তৈরীর পর পলি প্যাকেটে ভরে ডেকচির গায়ের তাপে প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে খৈ অনেক ক্ষন মচমচে থাকে। তিনি আরো জানান, খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪শত টাকা লাভ হয়। তার ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়ে গছে এবং তারা আলাদা সংসারে থাকে। হযরত বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ফেরি করে খৈ ভাজা বিক্রি করে ও তার স্ত্রী বিকালে পৌর বাজারে বাদাম বিক্রি করে। তারা স্বামী-স্ত্রীর খৈ আর বাদাম বিক্রি করে স্বচ্ছলতার সাথে সংসারের ভরণ পোষন চালিয়ে যাচ্ছে। খৈ ভাজায় হযরতের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। এখন তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে সুখ-শান্তিতে সাবলম্বি জীবন যাপন করছে।
পাইকগাছায় হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা জনপ্রিয়তা পেয়েছে
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা ॥
পাইকগাছায় হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ধবধরে সাদা, গরম মচমচে সু-স্বাদু ও মুখরোচক। ভুট্টার খৈ প্রচুর পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে।  ছোট-বড় সকলেই মুখরোচক এ খৈ এর স্বাদ নিচ্ছে। শীত জেকে বসায় খৈয়ের স্বাদ যেন একটু বেশি লাগছে। ভ্যানের ভিতর ভাজা গরম খৈ ভীড় করে কিনছে ক্রেতারা। আর দিন দিন খৈয়ের চাহিদাও বাড়ছে। গরম খৈয়ের সাথে টেষ্টি লবণের মিশ্রণ মুখে লেগে থাকে ভরপুর স্বাদ।
পাইকগাছা পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র হযরত সরদার। সে পৌর বাজারে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাদাম ভেজে বিক্রি করতো। তার এই কাজে স্ত্রী সহযোগিতার পাশাপাশি বাদাম করত ও এখনো বিক্রি করে। কয়েক মাস পূর্বে হযরত ৬২ হাজার টাকা খরচ করে ভ্যানের উপর ভুট্টার খৈ ভাজার মেশিন স্থাপন করে দোকান তৈরী করেছে। ভ্যানের উপর ছোট ঘর, চারিপাশে কাঁচ লাগানো। খৈ ভাজার জন্য ভ্যানের চালার নিচে গ্যাস সিলেন্ডার রয়েছে। ছাদের উপর ৯০ ওয়াডের সোলার প্যানেল, তার নিচে মটর। ছাদের মাঝ খানে রডের সাথে বিয়ারিং সংযুক্ত ঘুন্নয়নমান পাখা যা খৈ ভাজার ডেকচির মধ্যে বসানো। ডেকচির নিচে গ্যাসের ছোট চুলার আগুনের তাপে ডেকচির ভিতর খৈ ফুটতে থাকে, আর মটরের সাথে ডেকচির ভিতর পাখা ধীরে ধীরে খৈ নেড়ে দেয়। ভাজা ধবধবে খৈ ডেকচির উপরের ঢাকনা খুলে নিচে পড়তে থাকে। এ ভাবে হযরতের ভ্রাম্যমান ভ্যানে ভুট্টার খৈ ভাজা তৈরী হয়। ভ্যানের উপরের ছাদে চতুরপাশে রঙবেরঙের বাল্ব লাগানো রয়েছে, যা রাতের বেলায় ঝিলমিল আলোর সৃষ্টি হয়। ক্রেতারা ভুট্টার খৈ ক্রয়ের সাথে সাথে আলোক সজ্জা ও মন মাতানো গান শুনতে থাকে।
এ ব্যাপারে হযরত জানান, পাইকগাছার পৌর বাজার, নতুন বাজার, গদাইপুর হাট সহ বিভিন্ন এলাকায় বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত খৈ বিক্রি করে। তাছাড়া এলাকার বাইরে কোন বড় ধরণের অনুষ্ঠান হলে হযরত সে সকল অনুষ্ঠানে খৈ ভাজার জন্য যায়। প্রতিদিন প্রায় ৫ কেজির ভুট্টার খৈ ভাজা বিক্রি হয়। পলিথিনের ছোট প্যাকেট ৫ টাকা ও বড় প্যাকেট ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়। খৈ ভাজার জন্য প্রায় ৬ থেকে ৭শ গ্রাম তেল ২শ গ্রাম ঘি ও মশলার প্রয়োজন হয়। খৈ তৈরী হলে বিট লবণ ও টেষ্টি লবণের মিশ্রণ করে খৈয়ের মধ্যে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। খৈ তৈরীর পর পলি প্যাকেটে ভরে ডেকচির গায়ের তাপে প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে খৈ অনেক ক্ষন মচমচে থাকে। তিনি আরো জানান, খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪শত টাকা লাভ হয়। তার ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়ে গছে এবং তারা আলাদা সংসারে থাকে। হযরত বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ফেরি করে খৈ ভাজা বিক্রি করে ও তার স্ত্রী বিকালে পৌর বাজারে বাদাম বিক্রি করে। তারা স্বামী-স্ত্রীর খৈ আর বাদাম বিক্রি করে স্বচ্ছলতার সাথে সংসারের ভরণ পোষন চালিয়ে যাচ্ছে। খৈ ভাজায় হযরতের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। এখন তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে সুখ-শান্তিতে সাবলম্বি জীবন যাপন করছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)