শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

SW News24
রবিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » প্রথম হয়েও খুলনায় পুলিশে চাকরি হচ্ছে না মীমের
প্রথম পাতা » বিবিধ » প্রথম হয়েও খুলনায় পুলিশে চাকরি হচ্ছে না মীমের
২২৫ বার পঠিত
রবিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রথম হয়েও খুলনায় পুলিশে চাকরি হচ্ছে না মীমের

 এস ডব্লিউ;---  পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় মেধা তালিকায় শীর্ষে থেকেও জেলায় জমি না থাকায় এবার পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন না খুলনার মীম আক্তার। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, খুলনায় স্থায়ী ঠিকানা না থাকা এবং দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ায় চাকরিটি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না তার।

মীমের আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩নং আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের ডাঃ বাবর আলীর ভাড়াটিয়া বাড়ির বাসিন্দা সে। তার বাবা মোঃ রবিউল ইসলাম খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ভাড়ায় ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন। বেডিং হাউস নামে একটি দোকানও রয়েছে তার।মীম আক্তার বলেন, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় আবেদনের পর ২৫ অক্টোবর খুলনা শিরোমনি পুলিশ লাইন্সে শারিরিক যোগ্যতা যাচাই হয়। ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর তিনদিন ধরে চলা শারিরিক যোগ্যতা যাচাইয়ে আমি উত্তীর্ণ হই। এরপর ২৮ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা হয় খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এতে উত্তীর্ণ হই। এরপর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হই। ফলাফলে জানতে পারি আমি মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছি।তিনি আরও বলেন, এরপর খুলনা জেলা পুলিশ লাইন্সে সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষা হয়। সেখানেও উত্তীর্ণ হয়েছি। তারপর ১২ নভেম্বর রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে। সেখানে ১৩ নভেম্বর সকালে মেডিকেল পরীক্ষা হয়। তারপর বাড়িতে ফিরে আসি। সেখান থেকে বলা হয়েছিল, পরবর্তীতে ফলাফল জানানো হবে। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হয়। সোনাডাঙ্গা থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও সিটিএসবি থেকে বাড়িতে তদন্তে আসে। তাদের কাছে ভূমিহীন সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি। তারা বলেছিলেন, ৫ ডিসেম্বর আমাকে জানাবেন। ফোন দিয়ে ৭ ডিসেম্বর জেলা পুলিশ লাইন্সে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য ডাকা হয়। সেখানে পাঁচ আঙুলের ছাপ দিয়ে এসেছিলাম। সেখান থেকে বলেছিল, পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আর কিছুই জানায়নি।মীম বলেন, যারা ফিঙ্গার দিয়ে এসেছিল তাদের ফোন দিয়ে চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু আমাকে কিছু না জানানোর কারণে আমি শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ লাইন্সে গিয়েছিলাম। তারা কিছুই জানেন না জানিয়ে এসপি স্যারের সঙ্গে কথা করতে বলেন। এরপর শনিবার (১১ ডিসেম্বর) খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়েছি। পুলিশ সুপার স্যারকে পাইনি। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির আহম্মেদ স্যারের সাথে দেখা হয়েছে। স্যার বলেছেন, তোমার সব ঠিক আছে। তবে স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় তোমার চাকরিটা আমরা দিতে পারছি না। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে এসেছি। ভূমিহীন বলে আমার চাকরি হবে না। আমার জন্ম খুলনায়। জন্মসনদও খুলনা সিটি করপোরেশনের।

মীমের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, গত ১৭ মাস ধরে এ বাবর আলীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছি। ১৯৮৮ সাল থেকে এ রোডের আশপাশে বিভিন্নস্থানে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছি। গত ৩২ বছর ধরে পরিবার নিয়ে রয়েছি এখানে। মেয়ের জন্ম খুলনাতে। এখানে আমার নিজস্ব কোনো জমি নেই। এছাড়া গ্রামের বাড়িতেও আমার নামে কোনো জমি নেই। পৈতৃক বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার বড়বাড়িয়া গ্রামে। বাবা আব্দুল লতিফ শেখ এখনো জীবিত আছেন। তার নামেই সব জায়গা-জমি রয়েছে। আমার নামে জমি নেই। তাই ভূমিহীন বলে আমার মেয়ের চাকরিটা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, মেয়ের কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ এসেছিল। তাদের আমি সব ঘটনা খুলে বলেছি। তারপর তারা বলে গেছেন, স্থায়ী ঠিকানা বা জমি না থাকলে আপনার মেয়ের চাকরিটা সম্ভবত হবে না।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহম্মেদ বলেন, মেয়েটা সবদিক দিয়েই পারফেক্ট। মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছে। তবুও পুলিশের রুলসের কারণে আমরা তাকে নিতে পারছি না।

তিনি বলেন, সব দিক দিয়েই যোগ্যতা রয়েছে। তবে আইনের বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। এখন সরকার যদি আইন পরিবর্তন বা সংশোধন করে তবেই একমাত্র সুযোগ রয়েছে। এছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।

খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, আমরাতো ভালো প্রার্থীকে চাই। চান্স পাওয়ার ৭/৮টি ধাপ রয়েছে। এসব ধাপে যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ ডিসচার্জ হয়ে যায়। ট্রেনিংয়ে যাওয়া পর্যন্ত যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ বাদ পড়তে পারে। এখন চান্স পাওয়াটা আপেক্ষিক বিষয়। প্রার্থী (মীম) স্থায়ী ঠিকানা দিয়েছে খুলনার। কিন্তু আমরা দেখলাম সেখানে তার কোনো ঠিকানা নেই। সেক্ষেত্রে সে তথ্য গোপন করেছে। আমরা যেটা পেয়েছি, সেটা হচ্ছে তার বাগেরহাটের ঠিকানা। তাহলে কেন সে বাগেরহাট থেকে আবেদন করেনি।

পুলিশ সুপার বলেন, সব কিছুর পরও মেডিকেলে সে (মীম) ফিট হয়নি। তার দৃষ্টিশক্তিও কম। চশমা ছাড়া কম দেখে সে। মেডিকেলে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট হয়। আমাদের মেডিকেল বোর্ড রয়েছে, সেখান থেকে আমরা ফাইনাল ওপেনিয়ন যেটা পেয়েছি, সেখানে সে ফিট নয় বলে জানানো হয়েছে। শেষ কথা হচ্ছে একজন ভালো প্রার্থীর জন্য আমরাও বেশ চেষ্টা করি। ভালো প্রার্থী আমরা কেন করবো না।





বিবিধ এর আরও খবর

কেশবপুরে ৩০মণ ওজনের গরু রাজাবাবুকে  খাওয়ানো হয় আপেল ও মৌসুমী ফল কেশবপুরে ৩০মণ ওজনের গরু রাজাবাবুকে খাওয়ানো হয় আপেল ও মৌসুমী ফল
খুলনা জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ পাইকগাছা থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম খুলনা জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ পাইকগাছা থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম
কেশবপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায় বিশাল শ্রমিক সমাবেশে মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি ; এমপি-বাবু পাইকগাছায় বিশাল শ্রমিক সমাবেশে মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি ; এমপি-বাবু
ক্ষুদে হাফেজদের সাথে সেভিয়র ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল ক্ষুদে হাফেজদের সাথে সেভিয়র ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
পাইকগাছায় ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত পাইকগাছায় ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত
বিনামূল্যে সুপেয় পানি পাচ্ছে পাইকগাছা পৌরবাসি বিনামূল্যে সুপেয় পানি পাচ্ছে পাইকগাছা পৌরবাসি
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় খাবার পানির সংকট  নিরসনে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা
পাইকগাছা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে চতুর্দশ খুলনা জেলা রোভার মুট ২৩ এর উদ্বোধন পাইকগাছা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে চতুর্দশ খুলনা জেলা রোভার মুট ২৩ এর উদ্বোধন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)