

সোমবার ● ১৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » শিক্ষা » নানা কারণে লস্কর কড়ুলিয়া স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন জমে উঠেছে
নানা কারণে লস্কর কড়ুলিয়া স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন জমে উঠেছে
পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ নানা কারণে পাইকগাছার লস্কর কড়ুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারি বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। ১৮মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহূর্তে অবিভাবক সদস্য ভোটারারা হিসাব নিকাশ করছেন কোন প্যানেলে ভোট দিলে বিদ্যালয়ের কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে। নির্বাচন নিয়ে হচ্ছে নানা কথা ও কাঁদা ছুড়াছুড়ি। ভোটাররা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সু-নজরে থাকতে চায তা হলে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন হবে। আবার আছে লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান। ভোটাররা ভিন্ন কৌশল এগুচ্ছে। তারা চায় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন। জানা গেছে, ১৮জন প্রার্থী ৩টি প্যানেলে নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা করছে। নির্বাচনে ৩ জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ তিনটি প্যানেল রয়েছে। বিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশের একটি প্যানেলে, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল হোসনের একটি প্যানেল ও যুব সমাজের নামে একটি প্যানেল রয়েছে। তবে যুব সমাজের নামে প্যানেলটির পিছনে ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম আরিফুজ্জামান তুহিন রয়েছে বলে জানা গেলেও তিনি তা স্বীকার করেননি। এক পক্ষ বলছে, নির্বাচনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যুব সমাজের প্যানেলের দিকে কাজ করছেন। সুত্রমতে, তিনি মোবাইল ফোনে সার্বক্ষণিক ভাবে ভোটার ও অবিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটারদের মধ্যে অনেকই জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কে.এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেছে লস্কর কড়ুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করতে হলে যোগ্য ব্যক্তি কে ভোট দিন এবং একই সাথে যুব সমাজের দিকে লক্ষ রাখবেন এমনি কথা প্রচার করেছে। ইতোমধ্যে যুব সমাজের প্যানেলের পক্ষে ধীমান, মহাদেব, বিপুলসহ কয়েক জন রবিবার ১৫মে রাতে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে তা নিজের মোবাইল ফোনে ছবি তুলে রেখেছেন বলে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে লস্কর ইউপি চেয়ারম্যানের আসা যাওয়ার বিষয় চেয়ারম্যান বলেন, এলাকার কয়েকজন সহ বিশেষ করে ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য সচিব বিভূতি ভূষন সানা ইউনিয়ন পরিষদে এসে দাবি করেছিলেন স্কুলের নির্বাচন কালীন সময়ে আমি যেন প্রতিনিয়ন খবরা-খবর রাখি। ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য সচিব বিভূতি ভূষন সানা জানান, আমি জুরুরী প্রয়োজনে লস্কর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে স্কুলের নির্বাচনের কথা উঠলে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্বাচনের খবরা-খবর রাখতে বলি। তবে আমি তাকে প্রতিদিন লস্করে যেয়ে বলিনি। এ সব অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে লস্করসহ বিভিন্ন গ্রামে শালিস বিচার করতে যাই, কোন ভোট চাইতে যাইনি। বিদ্যালয়ের নির্বাচন নিয়ে কয়েকজন আমার কাছে দোয়া ও আর্শিরবাদ চেয়েছিল। আমি বলেছি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে সৎ ও যোগ্য লোককে নির্বাচিত করতে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবাই আমার লোক। নির্বাচনে যে জিতবে আমি তাকে অভিনন্দন জানাবো ও ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করে নেব। আমার বিরুদ্ধে যে কথাগুলো ছড়ানো হচ্ছে তা আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন চাই। এখানে আমার কোন প্যানেল বা কোন মনোনিত ব্যক্তি নাই।