শুক্রবার ● ২২ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » কয়রা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধর: ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল কারাগারে
কয়রা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধর: ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল কারাগারে
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে মারধর করার মামলায় আদালত কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে কয়রা থানা পুলিশ তাকে পাইকগাছা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এ মামলায় চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামের সহযোগী ইউনুসুর রহমান বাবু ও নিয়াজকে আদালত জামিন দিয়েছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে মারধরের অভিযোগে তার স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ দিন মধ্যরাতে র্যাব-৬’ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে বাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ ডি এম দোহা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করার পর র্যাব সদস্যরা শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাকে কয়রা থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাকে পাইকগাছা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
জেলা প্রশাসকের নিকট দেওয়া অভিযোগ ও এজাহারে উল্লেখ, গত ১৮ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মাদ্রাসায় বসে কাজ করছিলেন। এসময় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম এবং ওই মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা আব্দুল মালেকের নির্দেশে স্থানীয় ইউনুসুর রহমান বাবু, মোঃ নিয়াজ হোসেন, মাসুদুর রহমান, মিলন হোসেন, জহুরুল ইসলাম, রিয়াল, আমিরুল, অমিত মন্ডল, রফিকুল গাজী, সাদিকসহ ১৫ থেকে ২০জন লোক তাকে জোর করে ধরে রুম থেকে কলার ধরে বের করে নিয়ে আসে। এসময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর তাকে সেখানেই ফেলে চোখে, ঘাড়ে, কানে পিঠে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। এরপর তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানে বাহারুল ইসলামের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে আঘাতের নির্দেশ দেয়। সেখানেও তাকে বেদম মারপিট করে। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান তাকে মাদ্রসা থেকে পদত্যাগ করতে বলে। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।