

রবিবার ● ২০ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ শিশুদেরকে স্বপ্ন দেখাতে পচ্ছন্দ করতেন; শোকসভায় বক্তারা
অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ শিশুদেরকে স্বপ্ন দেখাতে পচ্ছন্দ করতেন; শোকসভায় বক্তারা
অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ শিশুদের দেবতারূপে দেখতেন। তাদেরকে স্বপ্ন দেখাতে পচ্ছন্দ করতেন। খেলাধূলার মাধ্যমে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন। বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা করতেন। তিনি বলতেন, শিশু থেকে যেভাবে গড়া হবে ঠিক তেমনি ভাবে তারা গড়ে উঠবে। উড়া নিস্পাপ, ফুলের মত পবিত্র। তাইতো তিনি শিশুদের কারিকুলাম নিয়ে ভাবতেন। শিশুদের পাঠদান কিভাবে করা উচিত তাই নিয়ে আলোচনা করতেন। পড়াশুনার নামে মানষিক নির্যাতন করা প্ছন্দ করতেন না। জ্ঞানচর্চ্চার জন্য বই পড়ার উপদেশ দিতেন। তিনি বলতেন কোন কিছু বলতে গেলে তা আগে নিজে যেনে মননে নিয়ে আসতে হবে। কোন ভাবে যেন শিশুদের ভুল তথ্য না দেওয়া হয়। এসব কথা বললেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের শোক সভায় বক্তারা।
২০ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৩টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বরেণ্য শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের লেখক, অরোতীর্থ বিদ্যাপিঠের পরিচালক অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শোকসভা প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক ও সমাজসেবক মাসুদ মাহমুদ। সভা পরিচালনা করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও একুশে টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্ঠা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা সদর থানার কর্মকর্তা শেখ মোঃ নূরুল ইসলাম, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের চীফ রিপোৃটার অমিয় কান্তি পাল, বাংলাদেশ বেতারের সংগীত শিল্পী মাজেদ জাহাঙ্গীর, খুলনা সদর টিআরসি ইন্সট্রাক্টর জগজ্জীবন বিশ^াস, রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানস কুমার রায়, শ্রী অরবিন্দ সোসাইটি খুলনার সম্পাদক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়াল, অঞ্জনা রানী দাশ, শাহানাজ পারভীন, মোঃ মোর্শেদ আলী বিশ^াস, রেবেকা রহমান, আসমা আক্তার, নাজমুন হিরা, মৌসুমি সুলতানা, অতনু পাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চিন্তা মননে তিনি বিশ^াস করতেন এই শিশুদের গড়তে পারলে একদিন তারাই পারবে সোনার বাংলাদেশ গড়তে। অভিভাবকদের উদেশ্যে তিনি বলতেন শিশুদের কিছু শিক্ষাতে হলে আগে নিজেকেই সেই বিষয়টি শিখে নিতে হবে। শিশুদের মধ্যে রয়েছে সম্ভাবনাময়। তাদের যেভাবে চেনানো হবে তেমনি সে পৃথিবীকে চিনবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে যেতে হবে।