

শনিবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » কয়রায় দেউলিয়া বাজারে দোকান ও বসতবাড়ী ভস্মীভূত
কয়রায় দেউলিয়া বাজারে দোকান ও বসতবাড়ী ভস্মীভূত
অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা: খুলনার কয়রার দেউলিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রতক্ষদর্শী।
২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেওলিয়া বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীদের ঘরে আগুন লাগে। এতে দোকানঘর মৎস্য ব্যবসায়ীদের বাসা সহ বসতবাড়ী, আসবাপত্র ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পৌনে এক ঘন্টার অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সহ স্থানীয় জনগণ, সিপিবি সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা সহযোগীতা করে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফজাল ও মনিরুল ইসলামের মৎস্য ব্যবসার ঘরে থাকা ককসেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তাৎক্ষণিক পাশ্ববর্তী গাজী ট্রেডার্সের ক্রোকারিজের দোকান মুহুর্তের মধ্যে পুড়ে যায়। এরপরে আগুন ছড়িয়ে পাশের মুনছুর মোড়লের চায়ের দোকান, শরিফুল মোড়লের বসত ঘর, আজগর মোড়লের চায়ের দোকান, বাবুর চায়ের দোকান, রাসেলের চায়ের দোকান, সিরাজুলের মাছের ঘর সহ আশপাশের কিছু বসতবাড়ী আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কয়রা ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পৌনে একঘন্টার অভিযানে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। কোন মানুষ হতাহত না হলেও আসবাবপত্র, অবকাঠামোসহ দোকানের মালামাল পুড়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ রাসেল আহমেদ জানান, মৎস্য ব্যবসায়ী আফজালের দোকান ঘরের দরজার মুখে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখেন। এক মিনিটের মধ্যে ককসেটে লাগা আগুন মুহুর্ত্বের মধ্যে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না আসলে আগুন নিভানো সম্ভব হতো না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাছুম বিল্লাহ বলেন, মুকুলের ক্রোকারিজের দোকানের ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মুনছুর মোড়লের চায়ের দোকান, শরিফুল মোড়লের বসত ঘর, আজগর মোড়লের চায়ের দোকান, বাবুর চায়ের দোকান রাসেলের বসতঘর পুড়ে যায়।
কয়রা স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার গোলাম মোস্তফা বলেন, গতকাল আমরা কয়রায় এসেছি। এখনো অফিসের কাজ শুরু করেনি। তারপরেও তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌনে একঘন্টার অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই। এটি আমাদের কয়রার প্রথম কার্যক্রম।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম) বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সাথে আগুন নিভানোর কাজে পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগীতা করে। এ ঘটনায় বাজারের কয়েকটি দোকান ঘর, পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ী, আসবাবপত্র ও দোকানের মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোন মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদ পেয়ে কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগীতা করেন।