রবিবার ● ২১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এস ডব্লিউ; সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার ২১ নভেম্বর সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা।সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। পরে সেখানে পরিদর্শক বইয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন।এদিন, ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করেন। সেই থেকে দিবসটি সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।