শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ » পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে এডিবি’র বিনিয়োগ বন্ধ কর:মোংলায় নাগরিক সমাজের সমাবেশে বক্তারা
প্রথম পাতা » পরিবেশ » পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে এডিবি’র বিনিয়োগ বন্ধ কর:মোংলায় নাগরিক সমাজের সমাবেশে বক্তারা
৪৪২ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে এডিবি’র বিনিয়োগ বন্ধ কর:মোংলায় নাগরিক সমাজের সমাবেশে বক্তারা

---

 



মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ( এডিবি ) এর বিনিয়োগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের জ্বালানী খাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এর বিনিয়োগ শুধু দেশকে দেনায় জর্জরিত করছে না, বরং পরিবেশ ও জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতিসাধন করছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এডিবি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৬.১৩ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে যার ৯৮ ভাগই জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে। ৩০ এপ্রিল শুক্রবার সকালে মোংলার চরকানা পশুর নদীর পাড়ে মোংলা নাগরিক সমাজ ও বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট ( বিডব্লিউজিইডি ) আয়োজিত এডিবিথর আসন্ন বার্ষিক সাধারণ ( ৩-৫ মে, ২০২১ ) সভাকে সামনে রেখে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।


শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক পরিবেশ কর্মী মোঃ নূর আলম শেখ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজের নেতা গীতিকার মোল্লা আল আল মামুন, সাংবাদিক রিয়াজুল আলীম, বাউল আব্দুস সালাম, উম্মে সালমা জুঁই প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন  বিগত ১০ বছরে সবমিলিয়ে ৯,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ করেছে এডিবি যা প্রতিবছর গড়ে ১৯.৩ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। আগামী ৩-৫ মে ২০২১ তারিখে, এডিবিথর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং এই সভায় এডিবিথর নতুন জ্বালানি নীতি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সংস্থা হিসেবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার জন্য অবশ্যই এডিবির জ্বালানি নীতিতে সুস্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত প্রতিফলন আনতে হবে। উল্লেখ্য এডিবিথর অর্থায়নে বাস্তবায়িত বেশিরভাগ প্রকল্পে স্থানীয় পরিবেশ ও মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। অনৈতিক ভাবে জমিদখল, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না দেয়া, সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যাকে পাত্তা না দিয়েই এডিবিথর বিনিয়োগে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্প চলছে বলে দাবি করেন বক্তারা। বক্তারা বাংলাদেশের শতভাগ নবায়নযোগ্য জালানি নিশ্চিত করার জন্য এডিবিথর উদ্যোগ নেয়ার জোরালো আহ্বান জানান।





আর্কাইভ