শুক্রবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশ্ব » থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত সমাজ গড়তে ভারতের প্রতিনিধি দলের ‘সচেতনতা যাত্রা’
থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত সমাজ গড়তে ভারতের প্রতিনিধি দলের ‘সচেতনতা যাত্রা’
ফরহাদ খান, নড়াইল; থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত সমাজ গড়তে ভারতের প্রতিনিধি দলের ৯৬ জন সদস্য বাংলাদেশে ‘সচেতনতা যাত্রা’ করেছেন। সপ্তাহব্যাপী প্রচারাভিযানের ষষ্ঠ দিনে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নড়াইল পৌরসভা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা।
অল ইন্ডিয়া ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সংগঠনের সভাপতি বাসুদেব ভরদ্বাজ, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মন্ডল, কার্যকরী সভাপতি আশিস বৈদ্য, সহ-সভাপতি প্রবীর কুমার, নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার পার্থ সারথী দাস, নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, কাউন্সিলর ইপি রানী, রাজু শেখ, মাসুদ রানা বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা মেশকাতুল ওয়ায়েজীন লিটু, হুমাউন কবির তনুু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফিরোজ শেখসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
ভারতে প্রতিনিধি দলের বক্তারা বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত সমাজ গড়তে এবং নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে কলকাতার বারাসাত থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল, ঢাকা, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল শহর ও যশোরের ঝিকরগাছা এলাকায় আমরা মোটরসাইকেল এবং বাসযোগে শোভাযাত্রা করেছি। আমাদের সংগঠনের ৯৬জন সদস্য এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ‘সচেতনতা যাত্রা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চিকিৎসকসহ বিশেষজ্ঞরা বলেন, থ্যালাসেমিয়া জিনগত রক্ত স্বল্পতা রোগ। যা বাবা-মার শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে। যখন একজন থ্যালাসেমিয়া পুরুষ আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহক নারীকে বিয়ে করেন, তখন তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ হলে সন্তানের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। বাচ্চার বয়স অনুযায়ী বৃদ্ধি ঘটে না। পিলে বেড়ে যায়। দেহের তুলনায় পেট বড় হয়। পায়ের রঙ হলদে হয়। জ্বর থাকে, ক্ষুধা থাকে না।
এজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত সমাজ গড়তে বিয়ের আগে অবশ্যই নারী ও পুরুষের রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। যদি দু’জনের রক্তে থ্যালাসেমিয়ার বাহক পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিয়ে করা যাবে না। এক্ষেত্রে একজনের রক্তে থ্যালাসেমিয়ার বাহক পাওয়া গেলে বিয়েতে কোনো সমস্যা নেই।
বক্তারা আরো বলেন, যাদের পরিবারে থ্যালাসেমিয়া রোগি আছেন; সেই পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোন এমনকি আত্মীয়-স্বজনদেরও রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।