বুধবার ● ৪ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » পরিবেশ » পাইকগাছায় দুই বছর বন্ধ রয়েছে সরকারি খাঁস জমি একসনা বন্দোবস্ত কার্যক্রম; প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার
পাইকগাছায় দুই বছর বন্ধ রয়েছে সরকারি খাঁস জমি একসনা বন্দোবস্ত কার্যক্রম; প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার
মাসুম বিল্লাহ (লাচ্চু), পাইকগাছা, খুলনা ॥
পাইকগাছায় গত দুই বছর বন্ধ রয়েছে সরকারি খাঁস জমি একসনা বন্দোবস্ত কার্যক্রম। ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ভুক্তভোগী শত শত দরিদ্র পরিবার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ সুযোগে সরকারি সম্পত্তি প্রভাবশালী ও ভূমি দস্যুদের দখলে চলে যাওয়ায় ধীরে ধীরে খাস জমির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে বন্দোবস্ত কার্যক্রম চালু করার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার একর একসনা বন্দোবস্ত যোগ্য কৃষি খাস জমি রয়েছে। যার মধ্যে ইতোপূর্বে প্রায় ২ হাজার একর জমি গরীব, দুস্থ, অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বন্দোবস্ত কার্যক্রম ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত চলমান থাকলেও ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বন্দোবস্ত ও নবায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ফলে এক দিকে প্রতি বছর সরকার অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত রয়েছে। অপরদিকে দীর্ঘদিন বন্দোবস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকারি কৃষি খাস জমি চলে যাচ্ছে প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। এতে সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়েন দরিদ্র ও গরীব শ্রেণির মানুষেরা। শত শত পরিবার কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়ে চাষাবাদ করার মাধ্যমে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতো। হঠাৎ করে বন্দোবস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সরকারের রাজস্ব ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল আমিন যোগদানের পর বন্ধ থাকা বন্দোবস্ত কার্যক্রম চালু করার ব্যপারে উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি গত ১৯/৪/২০১৬ ইং তারিখ উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় উত্থাপিত হলে কার্যক্রম পূণঃ চালুকরার ব্যাপারে জেলা প্রসাশকের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সদয় নির্দেশনার জন্য পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ ব্যাপারে ইউএনও আবুল আমিন জানান, একসনা বন্দোবস্ত কার্যক্রম সাতক্ষীরা সহ পাশ্ববর্তী সব জেলায় চলমান রয়েছে। গত দুবছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকার ইতোমধ্যে বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অপরদিকে সরকারি খাস সম্পত্তির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সহ সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নির্দেশনা পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যেই পুনঃরায় একসনা বন্দোবস্ত কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অবিলম্বে একসনা বন্দোবস্ত কার্যক্রম চালু করণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।