শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » শ্রীপুরে নড়াই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বেড়িবাধ
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » শ্রীপুরে নড়াই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বেড়িবাধ
৮০ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শ্রীপুরে নড়াই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বেড়িবাধ

---

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা শ্রীপুর উপজেলা দোরান নগর গ্রামে আগ্রাসী গড়াই নদী ভাঙ্গনে অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে ওই গ্রামে বসবাসকারীরা। গ্রামের রাস্তা গোসলের ঘাট,মন্দিও বসতবাড়িসহ নদীগর্ভে হারিয়েছে গেছে বছর কয়েক আগে।গতকাল শুক্রবার দোরান নগর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী মিলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বেড়িবাধ নির্মানের কাজ শুরু করেন।

নদী ভাঙ্গন নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছে এই এলাকার মানুষ। আগ্রাসী গড়াই এখনই বুঝি কেড়ে নিলো শেষ আশ্রয়টুকু,সেই দুশ্চিন্তায় নিরঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

দোরান নগর মধ্যপাড়ার অসহায় মানুষের কল্যানে সর্বনাশা গড়াই নদীর ভাঙ্গনের করাল গ্রাস থেকে নিজেদেও শেষ সম্বল ভিটে মাটি বাঁচানোর জন্য ব্যাক্তি উদ্যোগে নির্মান করা হচ্ছে বেড়িবাঁধ।

গেল ৫ বছর বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেকবার নদী রক্ষার দরখাস্ত দিয়েও কোনো ফল না হওয়ায় নিজেরাই বেড়িবার্ধেও নির্মান কাজ শুরু করেন।

গত বর্ষা মৌসুমে গ্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ধসে যায় নদীতে। এরই মধ্যে মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়েছে অনেকেই। বাকিরাও আছেন শঙ্খায়।

দোরান নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, প্রতিবছর গড়াই নদীর ভাঙ্গনে আমাদের দোরান নগর গ্রামের রাস্তা,বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গনে থেকে রক্ষা পেতে গ্রাম বাসী ও সমাজের বৃত্তবান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বেড়িবাধ নির্মান করা হয়েছে। গেল বছর  গ্রাম বাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৮টি  বেড়িবাধ নির্মান করা হয়েছিল। সেখানে এবার নতুন করে ইট,বালু লোহার রড় ও কংক্রিটের ঢালাইয়ের পিলার নির্মান করা হয়েছে। এই বেড়িবাধ নির্মানের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে গোটা গ্রাম।

ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মন্ডল বলেন, নদীর এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে। আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ আমারা প্রতি বছর ভাঙ্গনের মুখে পড়ছি। এতে বাড়ি- ঘর রাস্তাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এই বেড়িবাধ তৈরি করতে ইট বাল, সিমেন্ট, লোহার রড, নিয়ে নির্মান করা হয়েছে। আমাদের এই বেড়িবাঁধ তৈরিতে আনুমানিক বাধে প্রতি  প্রায় আড়াই লক্ষ  টাকা খরচ হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছা : মমতাজ মহল বলেন, সমাজে যারা স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময় উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসে তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরকারি ভাবে সহযোগিতা করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামীতে নদী রক্ষার কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা  অব্যাহত থাকবে ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)