শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » ডুমুরিয়ায় ভাল নেই কুমার পাড়ার লোকেরা ঃ হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্প
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » ডুমুরিয়ায় ভাল নেই কুমার পাড়ার লোকেরা ঃ হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্প
৭৯৪ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডুমুরিয়ায় ভাল নেই কুমার পাড়ার লোকেরা ঃ হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্প

---

অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া

ডুমুরিয়ায় ভাল নেই কুমার পাড়ার লোকেরা।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের আদী পেষার মৃৎশিল্প।নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে পরিবার গুলির।পেটের জ্বালায় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অন্যান্য পেষা।আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে মৃৎ শিল্পের ব্যবহার। তার উপর সরকারের নেই কোন নজরদারী,ফলে অচিরেই বাধ্য হয়ে এ পেষা তাদের ছাড়তে হবে। এমনটি জানিয়েছেন কুমার পাড়ার অনেক পরিবার।শত-সহ¯্র বছরের এই আদী শিল্প বাচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।গত সোমবার উপজেলার ডুমুরিয়া সদর,শরাফপুর,চিংড়া,মলমলিয়া সহ অনেক কুমার পাড়া ঘুরে তাদের জীবন-জীবিকার খোঁচ খবর নিতে এসব কথা বেরিয়ে আসে।শরাফপুর কুমার পল্লির অজয় পাল,শুকুমার পাল,সুসান্ত ও পাল জানান পুর্ব পুরুষ থেকে এই পল্লীতে ৫৫/৬০টি পরিবার মাটির তৈরী হাড়ি,পাতিল,কলসি,বদনা,মাইঠা সহ বিভিন্ন উপকরন তৈরী করে মোটা ভাত-কাপড়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।কিন্ত বর্তমানের আধুনিকতায় টিন,স্টিল,প্লস-টিকের তৈরী মালামালের কাছে তাদের  পন্যের ব্যবহার দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে।চাহিদার ঘারতির পাসাপাসি দিনে দিনে বেড়েই চলেছে বেকারত্ব।এমতবস্থায় অনেকেই এ পেষা তেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অজয় পালের কন্যা গাওঘরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী রিপা পাল তুলে ধরেন তাদের পরিবারের আত্মকাহিনী। জানান ৫ সদস্য বিশিস্ট পরিবারের ৪ জন দিন-রাত শ্রম দিচ্ছে। তাতেও ফিরে আসছেনা পরিবারের সচ্ছলতা।আসছে সারদীয় দুর্গা পুজায় হয়তো জুটবে না নুতন পোষাক। সারা দিন রাত খেটে যে পন্য উৎপাদন হয়, বাবা তা বাজারে বিক্রি করে অতি কষ্টে।তাও আবার মাটির দামে।যা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ সহ সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। আমাদের জন্য কি আর পুজা? আদী পেষা তাই বাবা কামড়িয়ে ধরে আছে। সরকার যদি নজর দিত তাহলে হয়ত আদী পেষা হারাতে হত না। ডুমুরিয়ার সংকর পাল,চিংড়ার শ্যামল,মলমলিয়ার অনিল পাল,নিখিল পাল  সহ অনেকে জানান ইতি মধ্যে তারা এ পেষা ছেড়ে  বাদাম ,বুট, গুড়,দোকান দারি সহ বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছে।মেটে পাত্রের ব্যবহার যে কত উপকারী তা কেউ বুঝতে চায় না। তাই ক্ষুদার তাড়নায় ছুটতে হয়েছে অন্য পেষায়।আমাদের কথা তো কেউ ভাবে না। লিখে আর কি হবে। সরকার ও সামাজিক সদিচ্ছই কেবলমাত্র বাচিয়ে রাথতে পারে হাজার বছরের এ শিল্পটি।আশুন সকলে এগিয়ে আসি ,ফিরে তাকাই।





ইতিহাস ও ঐতিহ্য এর আরও খবর

চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্মশতবর্ষ পালিত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্মশতবর্ষ পালিত
চুকনগর বদ্ধভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে : গণপূর্তমন্ত্রী চুকনগর বদ্ধভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে : গণপূর্তমন্ত্রী
ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী ; নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংরক্ষণে ৫ দফা দাবি জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী ; নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংরক্ষণে ৫ দফা দাবি
খুলনায় গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে আলোচনা সভা সঠিক ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়  -খুলনায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী খুলনায় গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে আলোচনা সভা সঠিক ইতিহাস যেন বিকৃত না হয় -খুলনায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস
বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ এম এ গফুর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ এম এ গফুর
১১২তম জন্মবার্ষিকীতে নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংস্কারহ স্মৃতি স্মরণে ৫ দফা দাবি ১১২তম জন্মবার্ষিকীতে নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংস্কারহ স্মৃতি স্মরণে ৫ দফা দাবি
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পাইকগাছার মধুমিতা পার্কটির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পূর্বাস্হায় ফেরানোর নির্দেশ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পাইকগাছার মধুমিতা পার্কটির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পূর্বাস্হায় ফেরানোর নির্দেশ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)