বুধবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » সারাদেশ » কয়রায় রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
কয়রায় রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা : খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের গ্রাজুয়েট হাইস্কুল থেকে হায়াত খালী বাজার পর্যন্ত ৩.৭৮ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
২২ আগস্ট, মঙ্গলবার দুপুরে নিম্নমানের কাজ করতে বাধা প্রদান করতে গিয়ে ঠিকাদারের লোকজন ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে কয়রা থানা পুলিশ ও উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, রাস্তার সংস্কার করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি খোয়ার পরিমাণ কম দিয়ে বেশি পরিমাণ বালুর ব্যবহার করছে। দায়সারা কাজ করা হলে অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তা দেবে যাবে। তাই এসব কাজে বাধা প্রদান করতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে।
অন্যদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন বলেন, রাস্তা সংস্কারকাজে বাধা সৃষ্টি করার কারণে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে নিম্নমানের কাজের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণে বড় ধরনের কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে সড়কের এক পাশে বড় খাল রয়েছে। কাজ বাস্তবায়নে বেগ পেতে হচ্ছে। দু’একটা জায়গায় সমস্যা হতে পারে।
কয়রা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মূল্যে মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে কার্যাদেশ পেয়ে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সড়ক নির্মাণকাজে দায়সারাভাবে খোয়া-বালুর ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হয় ঠিকাদারের লোকজন। গ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছে। কর্তৃপক্ষকে রাস্তাটির সংস্কার কাজ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। রাস্তাটি সরেজমিনে দেখার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বললে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে বর্তমানে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সড়কের গুণগত মান ঠিক করেই নির্মাণ কাজ শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।