আশাশুনিতে জতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনে আ.ফ.ম রুহুল হক

আহসান হাবিব, আশাশুনি:

জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আ.ফ.ম রুহুল হক বলেছেন, আমাদের দেশে এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন শ্রেনীর মাছ চাষ হয়। সফল মৎস্য চাষে দেশ আজ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আর এ সফালতার একমাত্র দাবীদার আমাদের দেশের মৎস্য চাষীরা। সকল প্রকার চাষের ক্ষেত্র পানি প্রয়োজন। মৎস্য চাষীদের জন্য সঠিক পানি বন্টনে প্রবাহ সঠিক রাখতে চাষীদের সাথে নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মরিচ্চাপ ব্রীজ নির্মানে ঘোষনা দিলে ২০০৯-১০ সালে বরাদ্ধ হলেও অজ্ঞাত কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালেই জানতে পারলাম খুব শিঘ্রই ব্রীজের কাজ শুরু হবে, জেনে খুশি হলাম। তিনি আশাশুনির সকল ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করেছেন তা শুম্ভুজিত মন্ডলের দেয়া ফিরিস্তির সাথে একমত পোষন করে বলেন, আমি আপনাদের পাশে আছি, থাকব। আগামীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতিক দিবেন আমি তার সাথে মিলেমিশে এক সাথে কাজ করব, ইনশাল্লাহ। বুধবার সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের দ্বিতীয় দিনে এতিমদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির আয়োজনে, আশাশুনি এডিবি ওয়ার্ল্ড ভিষন, বাংলাদেশের সৌজন্যে সকাল সাড়ে ৯টায় এক বর্নাঢ্য র‌্যালী উপজেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ওই স্থানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি সরকারী কলেজের অফিসার ইনচার্জ আল. রুহুল আমিন, জেলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোল্যা রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, আলমগীর আলম লিটন, দীপঙ্কর সরকার দীপ, শাহনেওয়াজ ডালিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকার পুকুরে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্বাচিত শ্রেষ্ট চিংড়ী ব্যবসায়ী শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, শ্রেষ্ট কাঁকড়া ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ মন্ডল ও শ্রেষ্ট কার্পও নার্সারী ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে ক্রেষ্ট প্রদান করেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অসহায় ব্যক্তি মোট ৮৩ প্যাকেজে ১, ২ ও ৩ বান করে মোট ১শ ২৯ বান ঢেউ টিন ও প্রত্যেক প্যাকেজে আরও ৩ হাজার টাকা, ২শ ২০জনকে ১হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।