শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়কের গাইডওয়াল; পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়কের গাইডওয়াল; পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ
৬৮৩ বার পঠিত
রবিবার ● ২০ আগস্ট ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়কের গাইডওয়াল; পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছা পৌরসভার সড়কের গাইডওয়াল নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন কাজ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর। নিম্নমানের উপকরণ বাদ দিয়ে মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা পৌরসভার পোষ্ট অফিস সংলগ্ন বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে মৎস্য আড়ৎদারী মার্কেট পর্যন্ত ৭নং ওয়ার্ডের চলাচলের জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কটির দুই পাশ দিয়ে রয়েছে চিংড়ী বিপনন কেন্দ্র, পোনা মার্কেট, মৎস্য আড়ৎদারী মার্কেট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হিমায়িত ও মৎস্য বোঝায় ট্রাকসহ ভারী যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। শুরুতেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের দুই পাশের পাঁকা গাইডওয়ালের কাজ শুরু করেছেন। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, গাইডওয়ালের কাজে নিম্নমানের ইট, বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজন নিন্মমানের ইট দেখে প্রতিবাদ করেন এবং পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মাহাবুবর রহমান রঞ্জু ও মহিলা কাউন্সিলর আসমা আহম্মেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর এর নির্দেশে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কাউন্সিলর রঞ্জু জানান, এখানে তিন নম্বর ইট নয়, ১৩ নং ইট দিয়ে কাজ হচ্ছে। তিনি জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন নামে যে ঠিকাদার এই কাজটি করছেন তাকে গত শুক্রবার মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। তারপরও শনিবার সকালে আবারো নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করলে উক্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় অধিবাসী আলতাফ হোসেন জানান, এই ইটের কোন নম্বর নেই। ইটের গায়ে নেই কোন জোর। বালির মান ও ভালো না। একটু জোরে বৃষ্টি হলে ইট ধুয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার নূর মোহাম্মদ জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় তার বিল দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। নিম্নমানের উপকরণ বাদ দিয়ে পুনরায় মানসম্মত উপকরণ দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)