শুক্রবার ● ২৯ মে ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয় যে, অকারণে বের হবোঃ তথ্যমন্ত্রী
লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয় যে, অকারণে বের হবোঃ তথ্যমন্ত্রী
ছবিঃ অনলাইন ।
এস ডব্লিউ নিউজ:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জনগণকে যত দূর সম্ভব ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘অদৃশ্য একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। আমার সুরক্ষা আমার কাছে। এটি নিজে অনুধাবন করতে না পারলে জোর করে সুরক্ষা দেয়া কঠিন। লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয় যে, অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করবো, অকারণে বের হবো বা জনসমাগম করবো।’
গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সকল কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করায় করোনারোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়েছে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে জীবন-জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে এখনো ডজন ডজন মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আমার সুরক্ষা যদি আমি না নিই তাহলে কাউকে তো জোর করে নেওয়ানো সম্ভব নয়।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, যেকারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক দেশের মতো ভেঙ্গে পড়েনি। পাকিস্তানেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়েছিল। সেখানে ডাক্তারদের এরেস্ট করতে হয়েছে হাসপাতাল চালু রাখার জন্য। বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি হয়নি।’
দেশের যেসকল ডাক্তার সাহসিকতার সাথে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে অহেতুক সরকারের সমালোচনা করেন। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশেও বেশি হতো।’ যুক্তরাজ্য যেখানে মেডিকেল সায়েন্স অনেক উন্নত সেখানেও শনাক্ত রোগীর ১৪ পার্সেন্ট, বেলজিয়ামে শনাক্ত রোগীর ১৫ পার্সেন্ট, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৩.২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি। বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার এখন ১ পয়েন্ট ৪ পার্সেন্ট, জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় অনেকে ধন্যবাদ না দিলেও বিশ্ব সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও জীবনরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন, তার ফলেই ১৭ কোটি মানুষের এই উন্নয়নশীল দেশে দু’মাসের বেশি সময় প্রায় সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হলেও সরকারের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তায় এখনো একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি। প্রায় সাত কোটি মানুষ নানাভাবে সরকারের সহায়তার আওতায় এসেছে।’
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দেড়শতাধিক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনজনের বেশি সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।