শুক্রবার ● ৯ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনিতে তিন দিনের মাথায় ফের শিক্ষক কর্তৃক শিশু ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টায় শ্লীলতাহানীর শিকার
আশাশুনিতে তিন দিনের মাথায় ফের শিক্ষক কর্তৃক শিশু ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টায় শ্লীলতাহানীর শিকার
আহসান হাবিব, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে: আশাশুনিতে তিন দিনের মাথায় ফের ধর্ষনের চেষ্টায় শিক্ষক কর্তৃক শিশু ছাত্রী শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১০ টার দিকে আশাশুনি উপজেলা সদরের কোদন্ডা গ্রামে। থানা অফিসার ইনচার্জ মু. গোলাম কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং জনতার হাতে আটক দীর্ঘদিনের নারী ও শিশুর যৌন নির্যাতনকারী বহু অপকর্মের হোতা শিশু ছাত্রীর যৌন নির্যাতনকারী নরপশু শিক্ষক মইনুর ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
সরজমিনে ঘুরে ও যৌন নির্যাতনের শিকার ওই গ্রামের ৬ষ্ট শ্রেনী পড়–য়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে (!) (১১) শতাধিক জনতার সামনে সাংবাদিক ও পুলিশকে জানায়, ঘটনার সময় ছাত্রীর পিতা-মাতা বাঁশ কাটার কাজে বাড়ীতে না থাকার সুযোগে কোদন্ডা গ্রামের মৃত. বাবর আলী কারিকরের পুত্র মইনুর ইসলাম অন্যান্যদের অজান্তে তাদের বাড়ীতে যায়। ছাত্রী যথানিয়মে শিক্ষকের সাথে কুশল বিনিময় করে বারান্দায় চেয়ারে বসতে দেয় ও ঘরে থাকা বিস্কুট, পানি দেয়। এক পর্যায়ে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোদন্ডা কেবিএ, দক্ষিন চাপড়া সাকসেচ ও আশাশুনি পূর্ব পাড়ায় আশাশুনি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক নরপশু মইনুর অভিভাবকদের অবস্থান জেনে শুনে আচ করে ছাত্রীকে কথা আছে বলে ঘরের ভেতরে ডেকে নেয়। কোমলমতি শিশু ছাত্রী (!) সরল মনে স্যারের ডাকে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর শুরু করে ওই নরপিশাচ মইনুর মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া। একপর্যায়ে ছাত্রীটি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে স্যারের হাত-পা জড়িয়ে ধরতে থাকে। কোন কথায় কর্ণপাত না করে শিক্ষক মেয়েটিকে জাপটে ধরে দেয়ালে ও খাটের উপর চেপে ধরে। পরনের কাপড় ওলট-পালট করে স্পর্শকাতর স্থানে উত্তেজিতভাবে হাত দিয়ে ধর্ষনের চেষ্টায় শ্লীলতাহানী ঘটায়। ছাত্রী যখন বেশ নাকাল হয়ে কাঁদতে শুরু করেছে তখন ওই নরপশু মইনুর তাকে ছেড়ে দিয়ে কৌশলে বাড়ীর বাইরে যায়। মেয়েটির কান্নার শব্দে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এসে ভিকটিমকে মাটিতে লুটিয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে এবং শিক্ষককে কৌশলে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মু. গোলাম কবির সঙ্গিয় দারোগা ও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও নরপশু শিক্ষক মইনুরকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুরেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্লীলতাহানীকারী মইনুরের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে থানা সূত্রে জানাগেছে। উল্লেখ্য, এই শিক্ষক মইনুর ইতোপূর্বে চাপড়া ও আশাশুনিতে বহু ছাত্রীর শ্লীতাহানীর ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি সাতক্ষীরাতে এক বাড়ীতে অনৈতিক কর্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনাতার হাতে-নাতে ধরা পড়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করে সে যাত্রায় মাপ পেয়ে যায়। প্রসঙ্গত: গত সোমবার একইদিনে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নছিমাবাদ ও এ ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী আদালতপুরে দু’শিশুর একটি যৌন হয়রানী ও একটি ধর্ষনের শিকার হয়।