বৃহস্পতিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় সামাজিক বনায়নের কেয়ারটেকার কতৃক উপকারভোগীদের হয়রানি করার অভিযোগ
পাইকগাছায় সামাজিক বনায়নের কেয়ারটেকার কতৃক উপকারভোগীদের হয়রানি করার অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি ; খুলনার পাইকগাছায় কেয়ারটেকার কতৃক”রাড়ুলী ও কাটিপাড়া সামাজিক বনায়ন’র”৪৫ জন উপকারভোগীদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রাড়ুলী কলেজিয়েট থেকে শালিখার ব্রীজ পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের তীরে ৬ কিলোমিটার সামাজিক বনায়ণ করা হয়েছে।২০১৫ সালে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী বনবিভাগ উপকারভোগীদের চুক্তি করার পর তারা এ বনায়ন সৃজন করেন। যার উপকার ভোগীর সংখ্যা ৪৫ জন। সামাজিক বনায়নের সভাপতি আজগর আলী বলেন, কপোতাক্ষ নদ খননের পর গড়ে উঠা চরভরাটে প্রায় ৬ কিলোমিটার জায়গায় আমরা নিম,বাবলা ও আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করে বনায়ন করি। যার কেয়াটেকার সুন্দর আলী মীর।গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে সে মালিকানা সাজার চেষ্টা করে। যা নিয়ে উপকারভোগীদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। জড়িয়ে পড়ে মামলা মকদ্দমায়।জেল হাজত খেটেছে সুন্দর আলী।এদিকে সুন্দর আলী উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে বনায়ণের রেকর্ডীয় জমির মালিকানা দাবী করে সম্প্রতি রাড়ুলি ইউপি চেয়ারম্যান ও থানায় অভিযোগ করেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপ করে প্রতিবেদন দেন। যাতে উল্লেখ করা হয় সরকারী ভিপি সম্পত্তিতে বনায়ন হয়েছে। আবেদনকারীর রেকর্ডীয় সম্পত্তির সাথে কোন মিল নেই। উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন,সরকারী চরভরাটি জায়গায় সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম উপকারভোগীদের গাছের ডালপালা কেটে ফেলে ও ঘনত্ব কমিয়ে তালের চারা লাগানোর লিখিত আদেশ দিয়েছেন।