শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরার কৃষকদের কাছে নালিম এখন অন্যতম বানিজ্যিক ফসল
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরার কৃষকদের কাছে নালিম এখন অন্যতম বানিজ্যিক ফসল
৪৩৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুলাই ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাগুরার কৃষকদের কাছে নালিম এখন অন্যতম বানিজ্যিক ফসল

---

মাগুরা প্রতিনিধি ॥

মাত্র ৯০ দিনে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা মুনাফা পাওয়ায় জেলার কৃষকরা এখন নালিম চাষের দিকে ঝুকছেন। বানিজ্যিক মুনাফার কারণে জেলার কৃষকদের কাছে অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসাবে গুরুত্ব পাচ্ছে বাঙ্গি জাতীয় মাঠ পর্যায়ের ফল নালিম । যে কারনে ক্রমশ বাড়ছে এটির বানিজ্যিক আবাদ।

মাগুরা সদর উপজেলার মির্জপুর, হাজরাপু, হাজীপুর, রাঘবদাড়, নড়িহাটি, ইছাখাদা, শিবরামপুর, বিরপুর, মির্জাপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে এখন নালিম চাষের জন্য সুপরিচিত হয়ে উঠেছে ।

জেলার কৃষক আব্দুর রওফ, আছুমোল্লা, মালেক মোল্লা, আনান্দ কুমার বিশ্বাস,মোঃ রশিদ,মোঃ  রেজাউল ইসলাম, মোঃ রতন আলী, ছালেক বিশ্বাস, মোঃ বাবলু মিয়া, মোঃওমর বিশ্ব্স, মোঃ রইচ মন্ডল, মোঃ ছবুর বিশ্বস সহ অনেকে, জানান - প্রতি এক বিঘা জমিতে নালিম চাষে খরচ হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা । বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা । এটির আবাদে সার কিম্বা অন্য কৃষি উপকরন তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় লাভ হয় বেশী । প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে এটির আবাদ হয় । পাকে জুন- মাসে ।

মির্জপুর গ্রামের মালেক মোল্লা  জানান,এবছর তিনি ১৪ বিঘা জমিতে নালিম চাষ করেছেন।৪ লক্ষ  টাকার বেশী মুনাফা হবে বলে আশাকরছি । নড়িহাটির আশরাফুল ইসলাম জানান- এটি লিচু ও পেয়ারা বাগানের সাথি ফসল হিসেবে চাষ হয়ে থাকে। আবাদ পদ্ধতি বাঙ্গির মতই। তার ৮ বিঘা জমিতে নালিম চাষে খরচ বাদে এ বছর  ২লক্ষ টাকার মুনাফা অসবে । মাগুরা, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা মাঠ থেকেই এটি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় । আবার অনেক সময় ব্যাপারীরা ক্ষেতসহ পাইকাড়ি দরে কিনে নেয়, যে কারনে কৃষকদের পরিবহন খরচ লাগে না ।  একই গ্রামের রইচ মন্ডল জানান- এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে তিনি নালিম লাগিয়েছিলেন । আশা করছি ৪লক্ষ টাকা বিক্রি হবে । খরচ হয়েছে ১লক্ষ টাকার উপরে ।

বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে -নালিমের রঙ বাঙ্গিরই মতন। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ কিন্তু পাকলে গাঢ় হলুদ ও ব্যাপক সুগন্ধি ।  এ ছাড়া ফলটি চিনিমুক্তো স্বাদ বাঙ্গির মতই ।ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য পুষ্টিসহায়ক।নলিম ফলটি আকারটা একটু ছোট ও গোলাকার।বর্তমানে নালিমের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন বিভিন্ন ক্ষেত থেকে একাধিক ট্রাক নালিম ভর্তি হয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

নালিম ব্যবসায়ী মোঃ লিয়াকত আলী বিশ্বাস, আব্দুল হক বিশ্বাস,মোঃ ইমরুল, মোঃ বদর উদ্দিন ও গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন- রমজানে এটির ব্যাপক চাহিদা তৈরী হয়েছে । প্রতিটি নালিম পাইকারী   ৮থেকে ১০ টাকা খুচরা ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানিয় বাজারে অনেক সময় আরো কম দামে বিক্রি হয়।

মাগুরার কৃষি সম্প্রসারনের হাজরাপুর ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান জানান,‘আজ থেকে প্রায় ১১ বছর পূর্বে লিচুর সাথি ফসল হিসেবে এই ফলটির চাষ শুরু হয়।বর্তমানে অত্র এলাকার কৃষকদের মাঝে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি আরো জানান,এই ফলটির বীজ সংরক্ষন পদ্ধতি খুব সহজ।’

 মাগুরার সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রুহোল আমিন জানান-নালিম বাঙ্গির অনুরূপ একটি ফল। নালিম এটির স্থানীয় নাম । এটির বানিজ্যিক গুরুত্ব ক্রমশ: বৃদ্ধি পাওয়াই  ভবিষ্যতে এটির চাষ আরো বাড়বে। আমরা সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)