শনিবার ● ২৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » শিক্ষা » শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
এস ডব্লিউ নিউজ: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে গণিতের ব্যবহার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে গণিতভীতি। গণিতভীতি দূর করে, ‘গণিত অলিম্পিয়াড কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধি’র সম্ভাব্যতা যাচাই শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্প বিষয়ে মতবিনিময় ও অবহিতকরণ কর্মশালা শনিবার খুলনা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে ভালো। অন্যদিকে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) চার নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও মানসম্মত শিক্ষা। সুতরাং এসডিজির এই লক্ষ্য পূরণে আমাদের শ্রেণিকক্ষের সকল শিক্ষার্থীদের একই মানে নিয়ে আসতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সকল শিক্ষার ভিত্তি। এই ভিত্তিকে মজবুত করতে পারলেই ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন সম্ভব হবে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের যে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও সেরকম পরিবর্তন আনতে হবে। পাঠদান পদ্ধতিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলার ৮০টি স্কুলকে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে এবং গণিত অলিম্পিয়াড পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে পাঠদান বিষয়ে ২৪০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এএফ এম মঞ্জুর কাদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপপরিচালক মেহেরুন্নেসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম সিরাজুদ্দোহা এবং পিটিআই সুপারিনডেন্ট স্বপন কুমার বিশ্বাস। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ নুরুন্নবী। গণিত অলিম্পিয়াড কৌশল উপস্থাপন করেন গণিতবিদ মুনীর হাসান। কর্মশালায় প্রকল্প আওতাভূক্ত পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিরা অংশগ্রহণ করেন।