বৃহস্পতিবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রধানমন্ত্রীর নবম শ্রেণী থেকেই বিষয় ভিত্তিক বিভাজন তুলে দেয়ার নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত
প্রধানমন্ত্রীর নবম শ্রেণী থেকেই বিষয় ভিত্তিক বিভাজন তুলে দেয়ার নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত
এস ডব্লিউ নিউজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম শ্রেণী থেকেই বিষয় ভিত্তিক বিভাজন (বিজ্ঞান-কলা-বাণিজ্য) তুলে দেয়ার বিষয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা না থাকাই ভাল। এসএসসি’র পরে গিয়ে যদি বিভক্ত হয়, সেটাই ভাল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবই পড়-ক তারপর যেখানে সে মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে সেটা করে নেবে। তাহলে অন্তত, তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হয়।’
প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে এজন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘এখন সব সাবজেক্টই বিজ্ঞান ভিত্তিক। সেটা ধীরে ধীরে চলেই এসেছে। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর /সিজিপিএ প্রাপ্তদের হাতে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক-২০১৮’ তুলে দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের (দেশে) ক্লাশ নাইন থেকে কে কোন সাবজেক্টে যাবে সেটা ভাগ করে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, এই ভাগটা থাকার কোন দরকারই নাই। কারণ, এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত সব সাবজেক্টই তাঁরা পড়তে পারে।’
বিশ্বের অনেক দেশেই এমনটা নেই, কারণ, বিজ্ঞান না পড়ার ফলে অনেক বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। আর আমাদের দেশে ১৯৬৩ সালে আইয়ুব খান (পাকিস্তান আমলে) সরকারের সময় এটা করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের শারমিন সুলতানা অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ, জাতীয় অধ্যাপক, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যানগণ, বর্তমান এবং সাবেক ইউজিসি সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য এবং শিক্ষবিদগণ, পিএমও, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যঃ বাসস।