বুধবার ● ২৯ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় আছে নিরাপত্তা নেই স্বাস্থ্যবিধি
কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় আছে নিরাপত্তা নেই স্বাস্থ্যবিধি
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুরে ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা সহ অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ, আনছার ডিবিসহ সাদা পোশাকে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী পৌর শহরকে চার স্থরের নিরাপত্তা বলয়ে বেষ্টিত করে রেখেছেন। গোটা শহর জুড়ে রয়েছে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারী । তবুও মানছে না সামাজিক দুরত্ব মানছে কোনস্বাস্থ্যবিধি ।
ভ্যাপসা গরম, গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি ও করোনা ভীতি উপেক্ষা করে সকাল থেকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতারা ব্যাস্ত সময় পার করছে। কেশবপুর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় সকল প্রকার গার্মেন্টস, শাড়ী বিতান, সু-ষ্টোর, ফ্যাশান’শো, কসমেটিকস, ও জুয়েলারী দোকান গুলো ক্রেতাদের পদচারনণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদের আর মাত্র ২ দিন বাকী, তাই সাধ ও সাধ্যের মধ্যে নিজের পছন্দসই জিনিসটি কিনতে সকাল থেকে দোকান থেকে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্রেতারা। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাদের সমাগম বেশী-বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে সব দোকান গুলোতে। বড় দোকান গুলোতে মধ্যবিত্ত ও অধিক আয়ের লোকদের ভীড়ে। নিন্ম আয়ের লোকদের আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে নিজের সাধ ও সাধ্যের পছন্দসই জিনিস কিনতে ফুটপাতের দোকানসহ মাঝারী দোকান গুলিতে ভীড় জমাচ্ছে। করোনাভীতি উপেক্ষা করে দোকান গুলিতে চলে বিকিকিনি। গার্মেন্টেসের দোকানে বাচ্ছাদের পোষাকের দাম সব চেয়ে বেশী। ৮শ’ টাকা থেকে ৫হাজার টাকা পর্যন্ত বেচা-কেনা হচ্ছে। এবারও ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নাম করণে এসব পোষাকের চাহিদা বাচ্ছাদের পাশা-পাশি বড়দেরও। শাড়ী ওড়না ও থ্রিপিছের দোকান গুলোতে মহিলাদের আনা-গোনা সবচেয়ে বেশী, কেশবপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সামি বস্ত্রালয় এর কর্ণধার মোঃ আবুল হাসান জানান, এবারের ঈদে বেচা-কেনা অন্য সময়ের ঈদের চেয়ে বেশ ভাল। তিনি বলেন মহিলাদের বেশী পছন্দ বিদেশী শাড়ী ও থ্রিপিছে। সাড়ে ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত বেচা কেনা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ী। সম্রাট বাটা লিবার্টি জুতার শোরুম গুলিতে বেচা-বিক্রী চলছে। কসমেটিকসের দোকান গুলিতে তরুণীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়, পাশা-পাশি মধ্যবয়সী মহিলাদের পদচারণা চোখে পড়ার মত। বিদেশী সাবান চুড়িসহ সেন্টের পাশাপাশি মেহদী কেনার মহা উৎসব। ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়াল যেমন নকসী কাথা, পঙিÍারাজ, সাঝেবাতি, ফিরকি ইত্যাদি নাম ও ভারতীয় সিনেমার নায়িকাদের দিয়ে তৈরী চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে মুগ্ধ হয়ে ছোট-বড় সব বয়সের মেয়েরা মেহদী কেনার উৎসবে মেতেছে। ঈদকে সামনে রেখে কেশবপুরের আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তা, সামাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় পুলিশ, আনছার ব্যাটালিয়, ডিবি ও সাদা পোশাকে পুলিশের সমন্বয়ে চার স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।