রবিবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে বারী সরিষা চাষ ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা
কেশবপুরে বারী সরিষা চাষ ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা
এম.আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে বারি ও টরি সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। সেই সাথে উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রও ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক ৮’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাজারে ভোজ্য তৈলের দাম বেশী হওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে অধিক হারে বারি ও টরি জাতের সরিষা চাষের ফলে তা লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলার বিস্তৃত ফসলেন মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারহ; নৈস্বর্গিক রুপের আভায় দিগন্ত ছুয়েছে। হেমন্তের সকালে হালকা কুঁয়াশার চাদরে মোড়ানো সোনালী রোদের উঞ্চতায় মৌমাছিরা মধু আহরনে গুনজন তুলেছে সরিষা ক্ষেতে। সরিষা ফুলের গন্ধে বিভোর সারা মাঠ। কেশবপুরে বিস্তৃত মাঠজুড়ে বারী সরিষা চাষের উৎসবে মেতেছে কৃষকেরা। তার পরও অর্জিত হচ্ছে না সরকারি ভাবে নেওয়া সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা। এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হলেও কৃষকের মাঠে আগাম জাতের বারী সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কেশবপুরের কৃষকেরা বোরো আবাদের আগে একই জমিতে আগাম বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। আর সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সাথে সাথে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদপ্ত বার্ষিক লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত করতে সক্ষম হয়। পাশা-পাশি অধিক ফলনশীল বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের এই সরিষা চাষ করে কৃষকেরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়। এ বছর নতুন করে টরি-৭, বারী-৯,বারী-১৫, বারী-১৭ ও বারী- ১৮ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ শুরু করেছে। এ সব জাতের সরিষা ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারে। যার ফলে কৃষকেরা সরিষা চাষের পরে খুব সহজে বোরো আবাদ করতে পারে, তাছাড়া এ বছর ভোজ্য তৈলের দাম বেশী থাকার কারণে উপজেলাব্যাপী কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুকছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও তারা বোরো আবাদের জন্য আগাম সরিষা চাষ শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ৮’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হলেও তা লক্ষমাত্র ছাড়িয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮’শ ৬১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জিত হয়েছে। তবে তৈলের দাম বেশী থাকায় আরো কিছু বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।