শুক্রবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » আশাশুনিতে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর সবজী ক্ষেত অতিবৃষ্টিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ
আশাশুনিতে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর সবজী ক্ষেত অতিবৃষ্টিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ
আশাশুনি : আশাশুনিতে অতিবৃষ্টি ও পার্শবর্তী উপজেলা থেকে আসা পানির চাপে উপজেলার আবাদী ফসলের ক্ষেত তলিয়ে হয়ে গেছে। এপর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কমপক্ষে ৪৭৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত এবং ৮৫ হেক্টর সবজী ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ করেন কৃষকরা। এছাড়া ৫৩০ হেক্টর জমিতে সবজী চাষাবাদ করা হয়। ফসলের ক্ষেত বেশ সবুজে পরিপূর্ন ও অনুকুল পরিবেশে ভরে উঠছিল। অভাগা অতি বৃষ্টিপাত ও শেষের দিকে এসে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ভিন্ন উপজেলা থেকে নদী ভাঙ্গন ও বৃষ্টির পানির চাপে আশাশুনির কিছু ইউনিয়নকে নাজুক করে ফেলেছে। পানির চাপে ধান ক্ষেত ও সবজী ক্ষেত তলিয়ে গিয়ে একাকার হয়ে যাওতায় ধান ও সবজী ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ও গেছে। এর মধ্যে উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ইউনিয়নে ৩৭০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া বুধহাটা ইউনিয়নে ২০ হেক্টর, খাজরা ইউনিয়নে ৩৫ হেক্টর, দরগাহপুর ইউনিয়নে ৩৯ হেক্টর ও কুল্যা ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমির ধান ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ধারনা করা হচ্ছে এসব ক্ষেতে প্রায় ৫৭ হাজার মন বা ২ হাজার ২৮০ মে.টন ধান উৎপাদন হতো। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
অপরদিকে, আশাশুনি উপজেলার এ মৌসুমে ৫৩০ হেক্টর জমিতে সবজী আবাদ হয়েছে। বৃষ্টির পানির চাপে ইতোমধ্যে ৮৫ হেক্টর জমির সবজী বিনষ্ট হয়ে গেছে। যার মধ্যে দরগাহপুর ইউনিয়নে ৫ হেক্টর, খাজরা ইউনিয়নে ৫ হেক্টর, কাদাকাটি ইউনিয়নে ১৩ হেক্টর ও বুধহাটা ইউনিয়নে ১০ হেক্টরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমির সবজী বিনষ্ট হয়েছে। এঅবস্থা চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস, এম এনামুল ইসলাম জানান, প্রনোদনা পুনর্বাসনের মাধ্যমে ক্ষতির শিকার কৃষকদের বাছাই করে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হলে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে। আমরা ইতোমধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদার কথা জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় জানান, পানি নিস্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে স্লুইচ হেটগুলো সচল করা হয়েছে। যদিও তা পর্যাপ্ত নয়। ফসল বিনষ্টের ব্যাপারে কিছু করতে হলে পানি কমে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পানি কমে গেলে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।






পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
পাইকগাছায় আগাম বোরো আবাদের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক
কেশবপুরে তুলার আবাদে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষীরা
মাগুরায় ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
পাইকগাছায় আমন ধান কাটা উৎসব শুরু
পাইকগাছায় আপনা আপনি জন্ম নেয়া একটি ডাট শাক ৯ ফুটের বেশী উচু হয়েছে
পাইকগাছায় হলুদ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক
কেশবপুরে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা নান্টু সাহা
পাইকগাছায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ বিতরণ
অগ্নিশ্বর কলা চাষে নজর কেড়েছেন অলক বিশ্বাস 