রবিবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » কয়রায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
কয়রায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা ঃ কয়রায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের দয়াল সরকারের পুত্র ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি বিপুল কুমার সরকার।
১৯ ফব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২০২২ সালর ১০ জুন রাত্রে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের বেড়িবাঁধের পুর্বপাশ্বে ১ টি বন্যশুকর প্রবেশ করে। আমার মাতা নমিতা সরকার ঐ রাত্রে মৎস্য ঘেরে আটন ঝাড়ার জন্য যাওয়ার পতিমধ্যে বন্যশুকরটি তার পায়ে কামড় দিয়ে আহত করে। তার চিৎিকারে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজন আমার মাতা নমিতা সরকারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরদিন সকালে কয়রা উপজলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই । এলাকায় বন্যশুকরের বিক্ষিপ্ত ছোটাছুটিতে আতংক সৃষ্টি হলে স্থানীয় লোকজন বন্যশুকরটিকে বনে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে শুখরটি মারা যায় জানত পারি। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনের স্টাফরা ১টি মৃত্যু বন্যশুকর উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। পরদিন কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ফারুকুল ইসলাম আমার নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমি ঘটনাস্থলে না থাকা সত্বেও আমাকে ও আমার পিতা দয়াল সরকারকে আসামী করে ১৪ জুন ১টি বন মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-এফসিআর-৬১-২০২২ তাং-১৪/৬/২০২২। ঐ মামলায় আমরা জামিন প্রাপ্ত হই।
সংবাদ সম্মলন তিনি আরও জানান, বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনের স্টাফরা গত ২৮ আগষ্ট ২০২২ কপাতাক্ষ নদে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সময় কাঁকড়া আহরণের অভিযাগে ৪০ কেজি কাঁকড়া সহ উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের আজগর আলী নামের ১ ব্যাক্তিকে আটক করে। হঠাৎ একদিন ঘড়িলাল বাজারে আমার কাঁকড়া ডিপোতে আমাকে পুলিশ ধরতে আসে। ধরতে আসার কারণ জানতে চাইলে জানতে পারি কাঁকড়া অভিমানের ঘটনায় আমাকে ৩ নং আসামী করা হয়েছে। আমি উক্ত মামলায় আটক হয়ে ১সপ্তাহ জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পাই। আমি জামিনে মুক্তি নিয়ে বাড়ী ফিরে এসে এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে কোবাদক স্টেশনের ঐ কর্মকর্তা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, মাসোহারা দিয়ে তাদের সাথে সমাঝোতা না করলে আরো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হবে বলে হুমকি দেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
এবিষয়ে স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ফারুকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিপুলের সাথে আমার ব্যাক্তিগত কোন আক্রোশ নেই।