বুধবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » মাগুরায় পেশা বদলাচ্ছেন ঢোলের কারিগররা
মাগুরায় পেশা বদলাচ্ছেন ঢোলের কারিগররা
শাহীন আলম তুহিন,মাগুরা থেকে : পেশা বদলাচ্ছেন ঢোলের কারিগররা। বর্তমানে আধুনিক অনেক যন্ত্রপাতির ভিড়ে প্রাচীন ঢোলের বাদ্য সামগ্রী হারাতে বসেছে তার পুরনো যৌলুস।প্রাচীনকাল থেকেই ঢোলের সাথে মানুষের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। বিয়ে, জন্মাষ্টমী, কীর্তন, মুখে ভাত বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে ঢোলের ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া নানা ধরনের উৎসব, আনন্দ অনুষ্ঠান, শোভা যাত্রা, যাত্রাপালা, নববর্ষ, লোকজ উৎসবে ঢোলের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। বর্তমান সময়ে মোবাইলের ব্যবহার ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ভিড়ে ঢোলের ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। তাই এর সাথে জড়িত কারিগররা বদলাচ্ছেন তাদের পেশা। কেউ শুরু করেছেন ব্যবসা, কেউ দিনমজুর, আবার কেউ বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন।
ঢোলের কারিগর আনন্দ দাস জানান, আমি এ পেশার সাথে ২০ বছর জড়িত। নানা উৎসব অনুষ্ঠানে ঢোলের ব্যবহার হয় অনেক। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ে, জন্মাষ্টমী, কীর্তন অনুষ্ঠানে ঢোলের ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই ঢোলের সাথে মানুষের নিবিড় বন্ধন রয়েছে। ঢোলের ছন্দময় বাজনা মানুষের মনকে দোলা দিয়ে থাকে। ঢোলের বাজনা না হলে হয় না কোন গান জমেনা কোন অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ উৎসব, বাউল উৎসবসহ নানামুখী অনুষ্ঠানে ঢোলের ব্যবহার আছে। বর্তমানে আধুনিক সব যন্ত্রপাতির ভিড়ে এখন আর ঢোলের ব্যবহার খুবই কম। আমার দোকানে তবলা,নাল,খোল,ডাংকা বিক্রি ও মেরামত করি। একসেট ঢোল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা,নাল,খোল,ডাংকা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। আগের মত এখন আর দোকানে বেচাকেনা হয় না। ফলে এ পেশায় টিকে থাকা খুবই কষ্ট। আমাদের মত অনেক ঢোলের কারিগররা তাদের পেশা বদলাচ্ছেন। কারণ এ পেশায় সংসার চলে না। তাই অন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে আমার।
ঢোলের কারিগর বিনয় বৈদ্য জানান, আমি এ পেশায় প্রায় দশ বছর। পুরনো পেশাকে টিকিয়ে রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন আর আগের মতো কোনো কাজ নেই। আগে ঢোলের বাদ্যযন্ত্রের সাথে নানামুখী উৎসব হতো। এখন এখন আর ঢোলের ব্যবহার তেমন নেই। আধুনিক সব যন্ত্রপাতির ফিরে হারিয়ে যাচ্ছে ঢোলের ঐতিহ্য।
ঢোলের কারিগর প্রদীপ বিশ্বাস জানান, ঢোলের সাথে আমার ৩০ বছরের সম্পর্ক। আমি ঢোল বাজায়। ঢোল বাজানো শেখায়, আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢোল বাজিয়ে পয়সা উপার্জন করি। এখন আধুনিক সব যন্ত্রপাতির ভিড়ে ঢোলের ব্যবহার কমে গেছে। তাই এ পেশায় টিকে থাকতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।






পাইকগাছায় বৃদ্ধ সুখেন-নমিতা দম্পতির কপোতাক্ষ নদে নৌকায় ভাসমান জীবন যাপন
৩০ বছর পিঠা বিক্রিতে জীবন চলে শওকত আলীর
কাজের অভাবে পাইকগাছা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ইট ভাটায় রওনা দিচ্ছে
কয়রায় আইসিডি’র সহায়তায় স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে বাঘবিধবা হালিমা খাতুনের
৫০ বছর ধরে হুক্কোর সাথে সংগ্রাম সাত্তারের
মাগুরায় গড়াই নদীতে জেলেদের জীবনজীবিকা
কোটা আন্দোলনে পাইকগাছার নিহত মাছ ব্যবসায়ী নবীনূরের স্ত্রী আকলিমা দিশেহারা !
কখনো বিয়ে না করা নারী ২১.৭ পুরুষ ৩৫.৮ শতাংশ
বনবিবির উদ্যোগে অসহায় গরিব শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ 