বুধবার ● ১৫ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস চলছে এমএলএস দিয়ে
ডুমুরিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস চলছে এমএলএস দিয়ে
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ডুমুরিয়া উপজেলা অফিসে পাঁচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত থাকলেও
অফিস চলছে মাত্র একজন এমএলএস দিয়ে।গত ১৫ দিনে বিনা ছুটিতেও হাজিরা খাতায় অন্যাণ্যদের স্বাক্ষরের দেখা মেলেনি। তবে মাসের শেষে সকলের স্বাক্ষর হাজিরা খাতায় উঠে যাবে বলে জানিয়েছেন অফিসের এমএলএস আঃ কুদ্দস।গতকাল ম্ঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে অফিসের হাজিরা খাতা ও উপস্থিত এমএলএস মোঃ আঃ কুদ্দুসের সাথে কথা বলে এ সব তথ্য জানা জায়।ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে অফিস ভবনটি যেন জঙ্গল বাড়ীতে পরিনত হয়েছে।ভাঙ্গা-চোরা বন জঙ্গলে ঘেরা ৪টি কোয়াটার পড়ে আছে।অফিসের একটি রুম খোলা থাকলেও লোকজন নেই।খুঁজতে খুঁজতে একজনকে পেলাম ।তিনি অফিসের এমএলএস আঃ কুদ্দুস বলে জানালেন।বাকী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোথায় ? তারা কি ছুটিতে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান কেহ ছুটিতে নয়।তারা সব কাজে সাইডে গেছে।এর পর অফিসে বসে তার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে হাজিরা খাতায় দেখা যায় ১ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে শুধু এমএলএস আঃ কুদ্দুসের স্বাক্ষর।এছাড়া অফিসের ডাটা ইন্টি অপারেটর মোঃ তরিকুল ইসলাম, কার্য্য সহকরী মোঃ কামাল হোসেন ও মোঃ আঃ জলিল এবং দ্রুুত নৌযান চালক মোঃ শাজাহান আলীর হাজিরা খাতায় এ মাসে কোন স্বাক্ষর নেই।তবে গত ফেব্যুয়ারী মাস সহ এর আগের সকল মাসে তাদের সকলের হাজিরা খাতায় মাস ব্যাপি স্বাক্ষর রয়েছে।এ মাসে অন্যান্যদের সাক্ষর নেই কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে আঃ কুদ্দুস জানান মাসের শেষে সকলে স্বাক্ষর সেরে ফেলবে।এ প্রসংগে কার্য্য সহকরী মোঃ কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান কাজের সাইডে আছি। তবে এত দিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই কেন ? এমন প্রশ্নের কোন সদুূেত্তার না দিয়েই তিনি ফোনটি কেটে দেন।এ প্রসংগে এসডি হাসনাত হোসেন জানান তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।