শনিবার ● ২৯ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রযুক্তি » শুদ্ধাচারী কর্মচারিরা বছরে এক বার পুরস্কৃত হবেন
শুদ্ধাচারী কর্মচারিরা বছরে এক বার পুরস্কৃত হবেন
-মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব এনএম জিয়াউল হক
মাগুরা প্রতিনিধি
মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব এনএম জিয়াউল হক বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে সকল কর্মচারি শুদ্ধাচারী হবেন, শুদ্ধাচার চর্চা করবেন তাদেরকে বছরে এক বার বেতনের সমপরিমান টাকা প্রণোদনা হিসেবে পুরস্কার পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া।
তিনি শুক্রবার মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপি ‘ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সবিচ সাদিয়া আরাফিন।
প্রবন্ধে জানানো হয়, শুদ্ধাচার হচ্ছে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ। এর দ্বারা সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদন্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্য বুঝানো হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হলো কর্তব্য নিষ্ঠা ও সততা তথা চরিত্রনিষ্ঠা। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগের সহায়ক কৌশল হিসেবে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রনয়ন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ১০টি রাষ্ট্রীয় ও ৬টি অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্তকরণ,প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রেক্ষাপট ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ, শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণে প্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষ্য নির্ধারণ, লক্ষ্য অর্জনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী সুপারিশ সন্নিবেশন, সুপারিশ বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা প্রনয়ণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের অতিরক্ত সচিব (সংস্কার) সোলতান আহ্মেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রোস্তম আলীসহ অন্যান্যরা। কর্মশালায় সরকারি,বে-সরকারি অফিসের কর্মকর্তা, এনজিও ,জনপ্রতিনিধি এবং সাংবাদিকসহ ৬৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।