বৃহস্পতিবার ● ২৬ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনির পল্লীতে চাঞ্চল্যকর শিশু তৈয়বুর হত্যায় বাদীপক্ষকে পুনঃরায় মারপিট ও ফলজ গাছ কর্তন
আশাশুনির পল্লীতে চাঞ্চল্যকর শিশু তৈয়বুর হত্যায় বাদীপক্ষকে পুনঃরায় মারপিট ও ফলজ গাছ কর্তন
আহসান, আশাশুনি: আশাশুনির পল্লীতে চাঞ্চল্যকর শিশু তৈয়বুর হত্যাকান্ড মামলার বাদী পক্ষকে পুনঃরায় মারপিট ও বাড়ির ফলজ বৃক্ষ কেটে এবং দুমড়ে-মুচড়ে বিনষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত পরিবার এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাকনা গ্রামের শিশু তৈয়বুর (১০) গত ২৫ মে হত্যা হওয়ার পর নিহতের মা আব্দুল গনি পাড়ের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন আশাশুনি থানা ১৫(৫)১৮ নং হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ইয়াছিনের স্ত্রী নার্গিস ও মহসিনের স্ত্রী খুকুকে ঘটনার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পায়। গত বৃহস্পতিবার বাকী আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করে। মামলার পর থেকে আসামী পক্ষ বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুলাই আসামীরা মুখে কাপড় বেধে বাদীর বাড়িতে ঢুকে মামলা তুলে নিতে হুমকী-ধামকী দেয়। সম্প্রতি আসামী খলিলের সহোদর আবু তালেব, আব্দুল আলিম, জামাই নাসির পুনঃরায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিহত তৈয়বুরের ভাই তরিকুলকে বাড়ির সামনের মটর সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে ডেকে বাড়ির পিছনের বিলে নিয়ে প্রকাশ্যে বেদম মারপিট করে আহত করে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনসার ও সাবেক ইউপি সদস্য মুজিবর ঘটনাস্থলে পৌছে বাধা দিলে তাদের উপরও চড়াও হয়। নির্দয়ভাবে মারপিটেই তারা খ্যন্ত হয়নি উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে নারিকেল, জামরুল, সবেদা গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফললজ গাছ কেটে ও দুমড়ে-মুচড়ে বিনষ্ট করে। ফলে পরিবারটি একন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তরিকুলকে হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে নিহত শিশু তৈয়বুরের পরিবার পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।