শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » শীতের আগমনে খেজুরের অমৃত রসের সন্ধানে ব্যাস্ত কেশবপুরের গাছিরা
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » শীতের আগমনে খেজুরের অমৃত রসের সন্ধানে ব্যাস্ত কেশবপুরের গাছিরা
৪৩০ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শীতের আগমনে খেজুরের অমৃত রসের সন্ধানে ব্যাস্ত কেশবপুরের গাছিরা

---

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

ঠিলে ধুয়ে দে বউ-গাছ কাঁটতে যাব  সন্ধে রস ঝেড়ে এনে জাউ রেন্ধে খাঁব,  ঠিলে ধুয়ে দে বউ গাছ কাঁটতে যাব। যশোরের যশ খেজুরের রস, এই প্রবাদটি চিরায়ত বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে-মুখে ধ্বনিত হয় শীতের আগমনে।

কুঁয়াশার চাঁদরে মোড়ানো সকালের সোনালী সূর্য্যের মৃদু হাসি বাংলার মানুষকে বুঝিয়ে দেয় শীতের আগমনি বার্তা।  শীত আসলেই কেশবপুর তথা যশোরের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল জুঁড়ে শুরু হয় গাছিদের খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন ঠিলে-খুংগি-দড়া- গাছি দাঁ বালিধরাসহ ইত্যাদি তৈরীর অবিরাম প্রস্তুতি। বেড়ে যায় গাছিদের ব্যস্ততা। আবহমান বাংলার প্রতিটি ঘরেঘরে ছেরেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও ব্যাস্ততা বেড়ে যায় দিগুন। মৌসুমের শুরুতে আলতো শীতের সোনালী সূর্য্যরে রোদেলা  সকালে গাছিরা বাঁশের ডগা দিয়ে নলি তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করে। কেউবা আবার পাটের আশ দিয়ে দড়া তৈরীতে মগ্ন। বেলা বাড়তেই ঠিলে-খুংগি-দড়া- গাছি দাঁ বালিধরা নিয়ে গাছিরা ছুটে চলে গাছ কাটতে। আবার ভোরে উঠে রস নামাতে কূয়াশা ভেদ করে চড়ে বেড়ায় এক গাছ থেকে আরেক গাছে। এর পর ব্যাবস্তা বাড়ে মেয়েদের সকাল থেকে দুপুর অবধি কোন ফুসরত নেই দম ফেলার। কেশবপুরের খেজুরের রসের খ্যাতি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। কেশবপুর, মনিরামপুর থেকে তাজা খেজুরের রসের তৈরী পাটালী ও গুড় বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। পাশা-পাশি আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত, মায়ানমারসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে কেশবপুরের খেজুরের গুড়ের ব্যাপক কদর রয়েছে। যশোর তথা কেশবপুরকে সারা পৃথিবীতে পরিচিত করেছে যে কয়টি বিষয় তার মধ্যে যশোরের কেশবপুরের খেজুরের রস অন্যতম একটি। কেশবপুরের খেজুরের রসের গুড় বলা যায় বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। শীত আসলেই আবহমান বাংলার ঘরেঘরে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। প্রতি ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা তৈরীর জন্য ঢেঁকিতে চাউলের গুড়া তৈরীর মহোৎসব। বাংলার  প্রতি ঘরে ঘরে সন্ধা হলেই একদিকে শুরু হয় কবি গান অন্য দিকে সন্ধে রস দিয়ে শুরু হয় পায়েশ, পুলিসহ বিভিন্ন  প্রকার পিঠা তৈরীর ধুম। এ যেন কবির সেই ঐতিহাসিক উক্তির বাস্তব রূপায়ণ; ঠিলে ধুয়ে দে বউ-গাছ কাঁটতে যাব  সন্ধে রস ঝেড়ে এনে জাউ রেন্ধে খাঁব।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)