শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » মাগুরায় রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়ি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » মাগুরায় রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়ি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
৯৫৩ বার পঠিত
রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাগুরায় রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়ি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে

---
মাগুরা প্রতিনিধি ঃ মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়িটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই ঈদে রাজবাড়ীটি দেখতে মত মত মানুষ ভীড় করেন। মধুমতি পাড়ে সপ্তদশ শতাব্দিতে স্বাধীন চেতা ও প্রজাবৎসল রাজা সীতারাম রায় তার রাজধানী স্থাপন করেন। রাজা সীতারাম আজ নেই, নেই কোন রাজ-কর্মচারী, সৈন্য-সামন্ত, পাইক-পেয়াদা। নেই কোন কর্মচাঞ্চল্য কোলাহল। শুধু কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে রয়েছে রাজপ্রাসাদ, দোলমঞ্চ, পুকুর সহ অসংখ্য জলাশয় গুলো।

জানাযায়, মাগুরা জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মহম্মদপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়ি।রাজা সীতারামের বাবা উদয় নারায়ন রায় ছিলেন তৎকালীন ভূষণা রাজ্যের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী। সে সুবাদে ছোট বেলা থেকেই রাজা সীতারামের যাওয়া আসা ছিল রাজ দরবারে। তিনি নিজ যোগ্যতায় যুদ্ধবিদ্যা, রাজকার্য, অশ্বচালনা রপ্ত করেছিলেন। বাবা উদয় নারায়ন মহম্মদপুরের শ্যামনগরে জোত বন্দোবস্ত নিয়ে মধুমতি পাড়ের হরিহর নগরে বসতি স্থাপন করেন। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে সীতারাম সাতৈর পরগণার বিদ্রোহী পাঠান করিম খাঁকে শায়েস্তা করার পুরস্কার স্বরূপ ভূষনা রাজ্যের নলদী পরগনার জায়গীরদার নিযুক্ত করেন। সুবেদার শায়েস্তা খা তাকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। পরে দিল্লির বশ্যতা অস্বীকার করলে বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খা রাজা সীতারামকে শায়েস্তা করতে সেনাপতি আবু তোরাবের নেতৃত্বে সৈন্য প্রেরণ করেন। এ যুদ্ধে তোরাব নিহত ও নবাব বাহিনী পরাজিত হয়। এর পর ক্ষিপ্ত নবাব সেনাপতি দয়ারাম ও বক্স আলী খাঁর নেতৃত্বে পূনরায় বিশাল সৈন্যদল পাঠান। বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করার এক পর্যায়ে রাজা সীতারাম পরাজিত ও নিহত হন। রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়িটি আজও মানুষকে আকর্ষন করে। তাই ঈদে রাজবাড়ীটি দেখতে মত মত মানুষ ভীড় করেন।মুগ্ধহন বাড়িটি দেখে ।
সোহেল আ লম তুষার নামে এক  দর্শনার্থী  জানান, আমি  মাগুরা শহরে একটি  ছোট  প্রতিষ্ঠানে  কাজ করি । বিভিন্ কাজের জন্য  রাজরাড়িটি  দেখার সুযোগ হয়নি ।  তাই ঈদের ছুটিতে এই রাজবাড়িটি পরিবার  নিয়ে  দেখতে এসেছি ।





ইতিহাস ও ঐতিহ্য এর আরও খবর

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস
বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ এম এ গফুর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ এম এ গফুর
১১২তম জন্মবার্ষিকীতে নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংস্কারহ স্মৃতি স্মরণে ৫ দফা দাবি ১১২তম জন্মবার্ষিকীতে নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি সংস্কারহ স্মৃতি স্মরণে ৫ দফা দাবি
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পাইকগাছার মধুমিতা পার্কটির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পূর্বাস্হায় ফেরানোর নির্দেশ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পাইকগাছার মধুমিতা পার্কটির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পূর্বাস্হায় ফেরানোর নির্দেশ
খুলনা দিবস পালিত খুলনা দিবস পালিত
ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনের সাক্ষী ‘দরবার স্তম্ভ’ ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনের সাক্ষী ‘দরবার স্তম্ভ’
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্মৃতি জাদুঘরের বেহাল দশা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্মৃতি জাদুঘরের বেহাল দশা
ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়িটি রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষেণের দাবি ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়িটি রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষেণের দাবি
খুলনায় বিশ্ব বেতার দিবস পালিত স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ বেতার বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে   -সিটি মেয়র খুলনায় বিশ্ব বেতার দিবস পালিত স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ বেতার বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে -সিটি মেয়র

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)