

বৃহস্পতিবার ● ২৮ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » কেশবপুর ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থাপনায় সমৃদ্ধ পর্যটনের লীলাভুমি
কেশবপুর ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থাপনায় সমৃদ্ধ পর্যটনের লীলাভুমি
এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুর হলো ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় নানা স’াপনায় সমৃদ্ধ একটি পর্যটনের লীলাভূমির নাম। যেখানে রয়েছে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভুমি, বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান, ইতিহাস খ্যাত কপোতাক্ষ নদ, মোঘল সম্রাজ্যের স্মৃতি বিজড়িত মির্জানগর হাম্মামখানা, ভরত রাজার দেউল, বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ধিরাজ ভট্ট্রাচার্য্যের বাড়ীসহ ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা।
পাশাপাশি সাগরদাঁড়ী মধুপল্লীর পশ্চিমে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পাশেই রয়েছে কপোতাক্ষ ইকো পার্ক। এছাড়াও পৃথিবী বিখ্যাত বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানকে নিজ হাতে খাওয়াতে পারেন কলা, বাদাম, পাউরুটি। যশোর জেলা শহর থেকে ৩২ কিঃ খুলনা থেকে ৪৮কিঃ সাতক্ষীরা থেকে ৩৫কিঃ রাস্তা কেশবপুর উপজেলা শহর পর্যন্ত। মটর সাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস অথবা বাস যোগে আসা যায় কেশবপুরে। আর কেশবপুরে এসেই পৃথিবী বিখ্যাত বিরল প্রজাতির সেই কালেমুখো হনুমানকে নিজ হাতে খাদ্য খাবার খাওয়ায়ে আপনি হয়ে যাবেন এক ঐতিহাসিক ঘটনার রাজ সাক্ষী।
এর পর কেশবপুর থেকে মাত্র ১৯ কিঃ দুরে ভদ্রানদীর তীরে গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ভরত ভায়নায় দেখতে পাবেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন ১৮শ বছরের পুরাতন ভরতের দেউল। ১২.২০মিটার উঁচু ২৬৬ মিটার পরিধি বিশিষ্ট দেউলটি গুপ্ত যুগের খ্রিষ্টীয় ২য় শতকে নির্মিত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
এবার কেশবপুর থেকে মাত্র ৮ কিঃ দুরে গিয়ে দেখতে পাবেন সেই মোঘল সম্রাজ্যের স্মৃতি বিজড়িত মির্জানগর হাম্মামখানা। জানতে পারবেন মোঘল সম্রাজ্যের অনেক না জানা ইতিহাস।
কেশবপুর থেকে মাত্র ১৩ কিঃ দুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত সাগরদাঁড়ী মধুপল্লী। কেশবপুর থেকে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল অথবা ইঞ্জিন ভ্যানে ৩০/৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে অনায়াসে ২০/২৫ মিনিটে পৌছানো যায় এই কপোতাক্ষ তীরে সাগরদাড়ীতে। আর প্রবেশ টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যাবস্থা। একই সাথে নাম মাত্র প্রবেশ মুল্যে মধু পল্লীতে দেখা মেলে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পৈত্রিক বসত ভিটা ও প্রসূতি স্থানসহ কবি পরিবারের যাবতীয় খুটিনাটি। পাশেই দেখতে পাবেন কপোতাক্ষ নদের দু-ধারে গড়ে উঠা পাউবোর ইকো পার্ক ও মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাঠবাদাম তলার বিদায়ী ঘাট। দিনশেষে পর্যটন কমপ্লেক্স ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় রাত্রি যাপনেরও রয়েছে সুব্যবস্থা। সারাদিনের ক্লান্তি অবষাদ দুর করতে সদা প্রস’ত এই ভবনগুলি। সব শেষে আপনি ঘুরে আসতে পারেন পাজিয়ার সেই বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ধিরাজ ভট্ট্রাচার্য্য ও সাহিত্যিক মনোজ বসুর বাড়ী।