সোমবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » কয়রা সেতুর টোল রহিতকরণে ডিও লেটার দেওয়ায় পাইকগাছায় আনন্দ মিছিল; শিবসা সেতুর টোল রহিতকরণের দাবী
কয়রা সেতুর টোল রহিতকরণে ডিও লেটার দেওয়ায় পাইকগাছায় আনন্দ মিছিল; শিবসা সেতুর টোল রহিতকরণের দাবী
এস ডব্লিউ নিউজ।
কয়রা চাঁদআলী সেতুর টোল রহিতকরণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ডিও (ডিমান্ড অব অর্ডার) লেটার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানকে জাতীয় শ্রমিকলীগ পাইকগাছা পৌর কমিটির জিরোপয়েন্টে আনন্দ মিছিল ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ কয়রা সেতুর ন্যায় পাইকগাছার শিববাটী সেতুর টোল রহিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানিয়েছে।
ডিএ লেটারের সূত্রে জানাগেছে, “বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে ৫১তম কিলোমিটারে অবস্থিত কয়রা সেতুতে অনির্ধারিত হারে টোল আদায় এবং অনিয়মের জন্য স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। আদায়কৃত টোল সরকারি কোষাগারে জমা হয় না ফলে টোল আদায় সরকারের কোন কাজে আসছে না। বিষয়টি আশু সুরাহা আবশ্যক। খুলনা সড়ক বিভাগের সাথে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আলোচনা করে জানতে পেরেছেন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সেতুটি ৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়। তারপর থেকে সেতুটি নিয়মিত ইজারা দেয়া হয়নি। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের জন্য ইজারা কোটেশন আহ্বান করা হয়েছিল, সন্তোষজনক সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় ইজারা কোটেশন আহ্বান করা হয়। দ্বিতীয় ইজারা কোটেশনের সময়ে পূর্বের ইজারাদার মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে খুলনা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন; মামলাটি চার বছর চলমান। মামলার প্রেক্ষিতে সরকারি কৌশুলি (জিপি) খুলনার সড়ক বিভাগকে পরামর্শ দেন যে, মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ শতাংশ বর্ধিত হারে মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে ইজারা বাবদ অর্থ আদায় করা যেতে পারে। বাদী ইজারাদার ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইজারা বাবদ কোন টাকা সরকারি খাতে জমা দেননি। অর্থাৎ এ বাবদ সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তি শূন্য।”
তিনি ডিও লেটারে আরও উল্লেখ করেন, “ইজারাদার টোল আদায় করছে, জনগণের মনে এজন্য চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচ বছর নাগাদ রাজস্ব বাবদ সরকারি খাতে জমা শূন্য। আদালত কোন আদেশ দেয়নি। জিপি’র পরামর্শ কোটের আদেশ এবং সরকারের সিদ্ধান্ত হিসেবে কাজ করছে। সেতু ব্যবহারকারীর কাছ থেকে টোল আদায় এবং সরকারি খাতে জমা না দেয়ায় তছরুপের পর্যায় পড়ে।”
ডিও লেটারের শেষাংশে অর্থ উপদেষ্টা সুপারিশ করে লিখেছেন, “কয়রা সেতুর টোল আদায় আপাততঃ স্থগিত রাখা বা বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। সরকার বিষয়টি পুনর্বিবেনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত বাদী মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে বকেয়া ইজারার অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জনগণের কাছ থেকে টোল আদায় এবং সরকারি খাতে জমা না দেয়া তছরুপ বিবেচিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। (ডিও নং-২৪.৩৯.১৬.০০.০০.০১.২০১৮-১৩০)।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা শিববাটী সেতুর টোল আদায় রহিত করার জন্য জাতীয় শ্রমিকলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন দাবী জানিয়ে আসছিল। তাছাড়া সম্প্রতি ড. মশিউর রহমানের বিভিন্ন জনসভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শিববাটীর সেতুর টোল রহিত করার জন্য জোর দাবী জানায়। শিববাটী সেতুর টোল রহিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ড. মশিউর রহমানের প্রতি দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।