সোমবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » শিক্ষা » চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভবনে ফাঁটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ, পাঠদানে ব্যাহত!
চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভবনে ফাঁটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ, পাঠদানে ব্যাহত!
শেখ আব্দুল মজিদ, চুকনগর, খুলনা ॥
ডুমুরিয়ার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একটি ভবন প্লাস্তার উঠে গিয়ে ছোট বড় ফাটল ধরে ব্যাবহারে ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে পাঠদান থেকে চরম ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। যে কোন মুহর্তে ভবনটি ধ্বসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে শংঙ্কায় রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর সদরে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নারী শিক্ষা নিশ্চিত করতে ১৯৭০ সালে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিা করেন। ফলে প্রত্যান্ত জনপদের ধনী, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা পড়ালেখার সুযোগ পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৫ শতাধিক ছাত্রী অধ্যায়নরত আছে। কিন্তু এর বিপরীতে শ্রেণী কক্ষ রয়েছে মাত্র ৮ টি। যাহা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া এস.এস.সি ও জে.এস.সি পাবলিক পরীক্ষার নির্ধারিত কেন্দ্র হিসেবে এই বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নারী শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা এবং নতুন ভবনের বিশেষ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ অভিভাবক মহল। দীর্ঘদিন যাবৎ জরাজীর্ণ ভবনটি ফাটল ধরে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়ে ব্যবহারে অনুপযোগী এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি কুন্ডু ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম এ প্রতিবেদককে জানান, প্রায় দুই বছর যাবৎ এ ভবনে ফাটল ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পাঠদানে চরম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণী কক্ষের সংকট রয়েছে। আমরা শ্রেণী কক্ষ বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি। তারা নতুন ভবন বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহম্মেদ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভবনটি সংস্কারের লক্ষ্যে চলতি মাসে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, স্কুলটি সরেজমিনে গিয়ে ভিজিট করেছি। ভবনের বর্তমান অবস্থার উপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি, কিন্তু ভাল কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এম.পি মহোদয়ের ডিও লেটারসহ পুনরায় আবেদন করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।