মঙ্গলবার ● ২৯ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ার গ্রামাঞ্চলে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার, বাড়ছে দূর্ঘটনা
ডুমুরিয়ার গ্রামাঞ্চলে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার, বাড়ছে দূর্ঘটনা
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া ।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ডুমুরিয়ায় যত্রতত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। কোন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই উপজেলার ছোট বড় হাট বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে অত্যন্ত ঝূকিপূর্ন তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম এই গ্যাস। ব্যবসায়ীদের এজন্য কোন লাইসেন্স বা ট্রেনিং নেই অথচ তারা শত শত গ্যাস সিলিন্ডার বাজারের খোলা জায়গায় জমা করে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ সর্বদা ঝুকিপূর্ণ ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশে চলাচল করছে। প্রায়ই দেশের কোন না কোন জায়গায় গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বিস্ফোরণ জনিত খবর পাওয়া যায় আর তাতে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, আঠার মাইল, শাহপুর, ডুমুরিয়া সদর, শরাফপুর, মিকশিমিল, শোলগাতিয়া, খর্ণিয়া, থুকড়াসহ প্রায় সকল ছোট-বড় বাজারগুলিতে সরেজমিনে ঘুরে এ ভয়াভহ বাস্তবতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব বাজারে মুদি, হার্ডওয়্যার, ইলেক্ট্রনিক্স বিভন্ন ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনের খোলা জায়গায় স্তুুপ করে রাখে এসব এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। জায়গা বেশী নেওয়া ও ওজন বেশী হওয়ায় সিলিন্ডারগুলি রাতেও ঠিক এভাবেই খোলা জায়গায় নিরাত্তাহীনতার মধ্যে দোকানের বাইরে পড়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের একটিতেও অগ্নি নির্বাপক কোন যন্ত্র বা সুবিধা দেখা যায় না, দূর্ঘটনা প্রতিকারেরও কোন ব্যবস্থা নেই। দেশের অর্থনীতি পূর্বাপেক্ষা চাঙ্গা হওয়ায় এখন মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত প্রায় সকল পরিবারে গ্যাস দিয়ে রান্না করার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নতুন কাষ্টমারদের কাছে গ্যাসের চূলা, সিলিন্ডার বিক্রি করার জন্য ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে এসব মালামাল তুলছে। অন্যদিকে আনাড়ি গৃহিনীরাও এই গ্যাস ব্যবহারে অভ্যস্ত না হওয়ায় তারাও রয়েছে মারাত্মক ঝুকিতে। অনেক প্রাণক্ষয় বা একটি জনপদ ধ্বংস করে দেয়ার মত ভয়ংকর ক্ষমতা রয়েছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জন্য। নিয়ম অনুযায়ী যে সব প্রতিষ্ঠান এলপিজি গ্যাস বিক্রি করবে তাদের মাল মজুদের স্থান সম্পূর্ণ সুরক্ষা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার কথা। গ্যাস বিক্রির স্থানে পাকা মেঝে, কমপক্ষে আধাপাকা ঘর, অগ্নি নির্বাপক সামগ্রী, মজবুত ও ঝুকিমুক্ত রক্ষণাগার এবং অবশ্যই জ্বালানী অধিদপ্তরের অনুমোদন থাকতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ী এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাড়তি লাভের আশায় দেদারসে এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করে যাচ্ছে। খর্নিয়া বাজারের এক সিলিন্ডার বিক্রেতা বলেন; বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলাররা গাড়িযোগে আমাদের দোকানে না চাইতেই সিলিন্ডার দিয়ে যাচ্ছে। এগুলি বিক্রি করে আমরা বাড়তি মুনাফা পাই। শিক্ষিকা রাফেজা খানম বলেন; যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হওয়ার কারণে হাতের নাগালে পেয়ে অজ্ঞ শ্রেণীর উৎসাহী মানুষ এগুলি কিনে ব্যবহার শুরু করেছে, তারা সঠিক ব্যবহার না জেনে নানারকম দূর্ঘটনায় পড়ছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঠিক তদারকির মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার দাবী জানিয়েছে সচেতন শ্রেণীর মানুষ।