শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » কেশবপুরে সাতবাড়িয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » কেশবপুরে সাতবাড়িয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত
৪৯৫ বার পঠিত
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে সাতবাড়িয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত

---

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের পুরাতন সাতবাড়য়িা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল, প্রতিটি রুমের দরজায় একাধিক জোড়াতালিসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। পদ থাকলেও নেই মেডিকেল অফিসার, নাইটগার্ড নেই ফার্মাসিষ্ট তার উপর সামনে ঢাকনা বিহীন ড্রেন ও কাঠের গুড়ি রাখায় রোগীদের চরম ভোগান্তি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।

সরেজমিনে ও এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির অবস্থান হওয়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় দশ থেকে বারটি গ্রামের সাধারণ ও নিন্ম আয়ের মানুষ এখানে স্বাস্থ্য সেব নিয়ে থাকে। জরাজীর্ণ এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটিতে সাতবাড়িয়া ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের চাদড়া, মির্জানগর, ভালুকঘর, জাহানপুর, ত্রিমোহিনী, সাতবাড়িয়া, কড়িয়াখালীসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে। প্রায় ৩০ বছর ধরে এই এলাকার মানুষ এখানেই সেবা নিয়ে সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করে আসছে। বর্তমানে পুরাতন ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। প্রতিটি রুমের দরজায় রয়েছে একাধিক জোড়াতালি। যে কোন সময় ছাদ ধ্বসে ঘটতে পারে বড় ধরনের অঘটন। ৪৫ শতাংশ জমির উপর প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মিত ভবনটি বয়সের ভারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অথচ ভবনটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও সচেতন এলাকাবাসি। ভবনের সামনের অংশে রোগীদের বিশ্রাম ও হাটাচলার জন্য বড় জায়গা থাকলেও তা করার কোন উপায় নেই। কারণ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কিছু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী সেখানে বড় বড় কাঠের গুড়ি রেখে জায়গটি দখল করে রেখেছে বছরের পর বছর। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বার বার বলার পরও কাঠ ব্যবসায়ীরা তা আমলে নিচ্ছেন না। কেউ কেউ আবার দলীয় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এখন  প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের দোর গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌছের দেওয়া সরকারের যে যুগন্তকারী প্রচেষ্টা তা নানা কারণে সাতবাড়িয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে সামান্য হলেও স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়েছে বলে মনে করেন নাগরিক সমাজ। স্বাস্থ্য সেবা কে›দ্রের জমিদাতা মো. আব্দুল মজিদ সরদার বলেন গ্রামের মানুষ যাতে হাতের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পায় সে জন্য আমি জমি দিয়েছি। কিন্তু তার অর্ধেক বেদখল হয়ে গেছে। কাঠ রেখে মানুষের ক্লিনিকে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এলাকার ভুক্তভোগী  ও সচেতন মানুষ ভঙ্গুর এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটি দখল মুক্ত করে দ্রুত সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এবিষয়ে ক্লিনিকে দায়িত্ব প্রাপ্ত সেকমো ডাঃ মো. নজরুল ইসলাম বলেন আমি অনেক বার কাঠ সরিয়ে নিতে বলেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ কুমার বলেন ড্রন ও কাঠের বিষয়টি আমি নিজে গিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকেও বলেছি। উপ পরিচালক যশোর জেলা পরিবার পরিকল্পনা (ডিডিএফপি) মনোয়ার হোসেন বলেন আমি বিষয়টি জানিনা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি স্থানীয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেখভাল করে, তিনি আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানাননি। এখন জানলাম বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাতবাড়িয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি সরেজমিনে দেখে উত্থাপিত সমস্যা  দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)