মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রাচীন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ .. প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রিিতনিধি :

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন আধুনিকতার জনক, পৃথিবী যখন প্রাচীন ধ্যান ধারনায় পাশ্চাত্য জমিদারী রীতিনীতি প্রচলিত ছিলো, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আধুনিকতা ও আধুনিক সমাজের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। যার ফলে সমসাময়িক অনেক কবি সাহিত্যিকের সমালোচনার তোপে পড়েছেন। তবুও তাকে দমিয়ে রাখতে পারিনি। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন অসম্প্রদায়িক ও মুক্ত মনের মানুষ, যুক্তি যোদ্ধ, ভাষা যোদ্ধা এবং প্রাচীন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি তার প্রমান রেখেছেন। বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্মজয়ন্তী ২০২০ উপলক্ষ্যে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ি কপোতাক্ষ তীরে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও  সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি) এসব কথা বলেন। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধয়ক ডাঃ দীলিপ রায়, কেশবপুর সভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম মোড়ল। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি শ্যামল সরকার, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জাামান খাঁন ও সাগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য  পুরুস্কার বিতরণ ও মুন্সী তাহেরুজ্জামান তাসু সম্পাদিত মধুসূদন স্মৃতি এ্যালবাম এর মোড়ক উন্মচোন করেন।