সোমবার ● ২১ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনি-ঘোলা মেইন সড়কের পুনঃনির্মাণ কার্যক্রম ঠিকাদারের উদাসিনতায় বেহালদশা, জনদূর্ভোগ চরমে
আশাশুনি-ঘোলা মেইন সড়কের পুনঃনির্মাণ কার্যক্রম ঠিকাদারের উদাসিনতায় বেহালদশা, জনদূর্ভোগ চরমে
আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনিতে আম্ফানের আঘাতে অল্প ভেঙ্গে যাওয়া নির্মাধীন ঘোলা-আশাশুনি মেইন রাস্তাটি ঠিকাদারের উদাসিনতায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ফলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, ৫ কোটি টাকা ক্ষতি পুরন না পেলে কাজ করবেন না বলে সংশ্লিষ্ট ঠেকাদার উপর মহলে দেন দরবার করে বেড়াচ্ছেন। দীর্ঘদিন আশাশুনি-ঘোলা মেইন সড়ক দিয়ে প্রতাপনগর, আনুলিয়া, শ্রীউলা তথা শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রত্যহ জেলা শহর সাতক্ষীরার যাতায়াত করে থাকে। রাস্তাটি যখন একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল, তখন ইউপি চেয়ারম্যন আবু হেনা সাকিলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে বহু দেন দরবারের ফসল হিসেবে গত ২০১৮ সালে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজের উদ্বোধন হলে ভূক্তভোগী এলাকাবাসির মধ্যে আসার সঞ্চর হয়। ধীর গতিতে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঘুর্নিঝড় আম্ফানের আঘাতে মহিষকুড় থেকে নাকতাড়ার মধ্যবর্তী মহিষকুড় ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে হতে মহিরুউদ্দীন মোড়লের দোকান পর্যন্ত আনুমানিক দুই’শ ফুট ও বালুর মাঠের পার্শ্বে এক’শ ফুটের মত সর্ব মোট তিন’শ ফুট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু হেনা সাকিল তার নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক ভাবে বালু দিয়ে চলাচলের ব্যাবস্থা করেন। সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগীরা জানান, উপকুলীয় দক্ষিণ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের সাতক্ষীরা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি এক যুগের বেশি সময় জরাজীর্ন অবস্থায় ছিল। বিষয়টি সংসদ সদস্য এমপি ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাস্তাটি পুনঃনির্মানে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। রাস্তাটির নির্মাণ কাজে ঠেকাদারের ধীরগতি এলাকাবাসিকে হতাশ করেছে। অল্প জায়গায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ঠেকাদার পাথর আর বালু দিয়ে সংস্কার করলেই পূর্বে পুনঃনির্মাণকৃত রাস্তার ন্যায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করত। ফলে মানুষের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকত এবং জনদুর্ভোগ থেকে হাজার হাজার মানুষ রেহাই পেত। এতে কোটি টাকা কেন লক্ষ টাকাও অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হয় না বলে সচেতন এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, আনুমানিক ৩/৪’শ ফুটের মত রাস্তা আম্ফানে আমার ইউনিয়ন প্লাবিত হলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মানুষের চলাচলের জন্য ওই সময় আমি নিজেই বালু দিয়ে চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গত কয়েক দিনে ভারী ও মাঝারী বর্ষনে বালু দিয়ে সংস্কারকৃত রাস্তাটি পানি জমাট বেধেঁ তরল হয়ে যাওয়ায় চলাচলের দারুন ভাবে ব্যহত হচ্ছে। আমি বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে জেনেছি, ঠিকাদার অধিক লাভের আশায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতি পুরন না দিলে কাজ করবেন না বলে দেন দরবার করে বেড়াচ্ছেন। ফলে জনদূর্ভোগে পড়েছে উপকুলীয় অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। বিষয়টি সুরাহ করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ।